কক্সবাজার : জহিরুল হত্যার ঘটনায় শিবির নেতা গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

‘ভয়কে জয়’ করেছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

পরের সংবাদ

৫ ডাকাত ৩ দিনের রিমান্ডে : কুরবানির গরু ডাকাতি করে বিক্রি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গবাদি পশুসহ মুদি ও ডিজেল তেল ডাকাত চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোহাম্মদ আলি সোহাগ, মো. মোহসিন আলি, মো. নূরুন্নবী ওরফে জনি, মো. আমির হামজা আকাশ ও মো. কাজল। ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. কামরুজ্জামান সরদার গতকাল শনিবার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি হলুদ রংয়ের পিকআপ, ১টি লোহার শাবল, ১টি লোহার তৈরি কাটার, ১টি কাঠের হাতলযুক্ত কাস্তে, ১টি ছোট চাকু, ১টি হেক্সো ব্লেড, ১টি ৩২ মিমি রেঞ্জ, ১টি স্ক্রু ড্রাইভার, ১টি ত্রিপল, ২টি সুইচ গিয়ার ও ৬টি বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের তিন ?দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
কুরবানি ঈদের একদিন আগে ডাকাতি করে আনা দুটি গরু কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া পশুর হাটে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে এ চক্রের সদস্যরা। পরে বিক্রি করা টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। এ ঘটনায় বনানী থানার মামলা তদন্ত করতে গিয়ে তাদের নাম উঠে আসে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. কামরুজ্জামান সরদার এ প্রতিবেদককে বলেন, উপকমিশনার মশিউর রহমানের নির্দেশনায় অভিযানটি পরিচালিত হয়। মূলত ডাকাত চক্রটি ঢাকা মহানগর, ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, ময়মনসিংহ মহাসড়কে মালবাহী ট্রাক-পিকআপে ডাকাতি করে থাকে। রাতে রাস্তায় চাল, তেল, মুরগি, মাছ, ডাল, ডিম, ডিজেল, পেঁয়াজ ইত্যাদির ট্রাক-পিকআপ ডাকাতি করে ও ডাকাতির মালামাল ভৈরব, কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে থাকে। এছাড়া এ চক্রের সদস্যরা সদস্যরা ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জসহ অন্যান্য এলাকায় দিনের বেলায় রেকি করে।
রাত্রে যে গোয়াল ঘরে তালা বা শিকল লাগানো থাকে তা তারা লোহার কাটার দিয়ে কেটে প্রবেশ করে গবাদি পশু নিয়ে অপেক্ষমাণ ট্রাকে তুলে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে নিয়ে চলে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা টিনের ঘেরাও করা বাড়ি বা গোয়াল ঘরের মাটি খুঁড়ে গর্ত করে প্রথমে একজন ভেতরে প্রবেশ করে। বাড়ি বা গোয়াল ঘরের ভেতরে প্রবেশ করার পর দরজা খুলে দিলে তখন অন্য সদস্যরা ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাতি করে থাকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়