কক্সবাজার : জহিরুল হত্যার ঘটনায় শিবির নেতা গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

‘ভয়কে জয়’ করেছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

পরের সংবাদ

দাম কম হওয়ায় আলু চাষে অনাগ্রহী রংপুরের কৃষকরা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রংপুর : বর্তমান সময়ে আলুর দাম কম থাকাসহ গত বছরে দাম ভালো না পাওয়ায় রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা এবার আলু চাষে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। অনেক কৃষক গত বছর লোকসানের মুখে পড়ায় বিএডিসি থেকে মানসম্মত আলু বীজ নিতেও উৎসাহ দেখাচ্ছেন না। এতে করে অনেক বীজ আলু এবার অবিক্রীত থেকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
গত ২০১৯-২০ মৌসুমে আলুর দাম ভালো পাওয়ায় পরের বছর ২০২০-২১ মৌসুমে অনেকে ব্যাপকহারে আলু চাষ করে দাম না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েন চাষিরা। ফলে এ বছর (২০২১-২২) অনেকে আলুর আবাদ করবেন কিনা তা নিয়ে দোটানায় আছেন। রংপুরের পীরগাছা উপজেলার আলুচাষি আতাউর রহমান বলেন, সাড়ে ১৬ দোন (২৪ শতকে ১ দোন) জমিতে এস্টারিস জাতের আলু আবাদ করে দোনপ্রতি আলু পেয়েছেন ৪০ বস্তা (৯০ কেজির) আলু। উৎপাদনে খরচ হয়েছে প্রায় ৪ লাখ টাকা। কোল্ডস্টোরেজে আলু রাখায় আরো খরচ যোগ হয়েছে বস্তাপ্রতি আলুর ভাড়া ২৭০ টাকা। বর্তমান বাজারমূল্যে প্রতি মণ আলুর দাম ৬০০ টাকা ধরে তার সব আলু বিক্রি করলেও লাভ তো দূরের কথা আসল টাকা তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে। আতাউরের মতো অনেকে আলু নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
কাউনিয়ার আলুচাষি আফজাল হোসেন জানান, তিনি এবার ৫ দোন জমিতে আলু চাষের পরিকল্পনা করছেন। তার ঘরেও রয়েছে নিজের বীজ আলু। তিনি জানান, আলুর দাম না থাকলেও জমিতো আর ফাঁকা রাখা যাবে না।
বিএডিসি রংপুর অঞ্চলের উপপরিচালকের (বীজ বিপণন) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে (২০২১-২২) আলু বীজের মোট বরাদ্দ হচ্ছে ৩ হাজার ৭১৭ দশমিক ৮৮ টন। এর মধ্যে ৫ জেলার ৭২৬ জন নিবন্ধিত ডিলারের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে ২ হাজার ৯৫০ দশমিক ৮০০ টন এবং কৃষক, বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও এনজিওর বরাদ্দ হচ্ছে ৭৬৬ দশমিক ২৮৮ টন। রংপুর জেলায় বিএডিসি নিবন্ধিত ডিলার হচ্ছেন ১৯২ জন। গাইবান্ধা জেলায় ১৩০ জন, কুড়িগ্রাম জেলায় ১৬১ জন। নীলফামারী জেলায় ১৩০ জন। লালমনির হাট জেলায় ডিলার হচ্ছেন ১১৩ জন। রংপুর জেলার ডিলারের জন্য ন্যূনতম বরাদ্দ হচ্ছে ৪ দশমিক ৮০০ টন। বাকি জেলার ডিলারদের প্রত্যেকের জন্য বরাদ্দ ৩ দশমিক ৮০০ টন। রংপুরের বিএডিসি (বীজ ও সার) ডিলার ফিরোজ আলম জানান, এখন পর্যন্ত কৃষকরা আলু বীজের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। অথচ গত বছর আগাম টাকা দিয়েছিলেন কৃষকরা। তিনি বলেন, বীজের জন্য ডিলারদের বুকিং শুরু হয়েছে। রংপুর জেলার ডিলারদের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে ৪ দশমিক ৮০০ টন। আগামী ২০ নভেম্বর পর থেকে কৃষকরা বীজ আলুর জন্য যোগাযোগ করতে পারেন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে এবার সব বীজ আলু বিক্রি নিয়ে সংশয়ে আছেন ডিলাররা।
আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে আলু আবাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে, যা থেকে উৎপাদন হবে ২২ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯৬ টন আলু।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়