কক্সবাজার : জহিরুল হত্যার ঘটনায় শিবির নেতা গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

‘ভয়কে জয়’ করেছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

পরের সংবাদ

ডিএমপি কমিশনার : কুমিল্লার দায় একক কোনো দলকে দেয়া যাবে না

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : যারা তদন্ত করছেন তারা ভালো বলতে পারবেন কুমিল্লার ঘটনায় কারা দায়ী। তবে অতীতে এ ধরনের ঘটনায় আমরা যে বিষয়গুলো লক্ষ্য করেছি, তাতে ঠিক এ ঘটনার দায় এককভাবে কোনো রাজনৈতিক দলকে দেয়া যাবে না। গণজাগরণই পারে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে শীর্ষক ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ অনুষ্ঠনটির সভাপতিত্ব করেন। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি ও বিরোধী দল হিসেবে কুমিল্লা ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রামুর ঘটনা ও নাসিরনগরের ঘটনায় আমি চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি ছিলাম। নাসিরনগরের সহিংসতার ঘটনায় এক সপ্তাহ আমি সেখানে ছিলাম। সেখানে যারা আসামি ছিল, তাদের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলেরই সম্পৃক্ততাই দেখা গেছে। ইকবালকে ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত বলা হচ্ছে, তার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে কিনা ও সে কী নিজেই ঘটনা ঘটিয়েছে, নাকি কেউ তার মাধ্যমে ঘটিয়েছে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার যে টিম সেখানে আছে তার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি কিছু মানুষের উসকানি সেখানে রয়েছে। সেটা তদন্তে আরো প্রকাশ হবে বলে আশা করছি।
কুমিল্লার ঘটনায় পুলিশের কোনো দায় আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মনে করি এটা তদন্ত করে দেখা উচিত, বিশেষ করে যখন পবিত্র কুরআন শরিফ আমাদের তদন্ত কর্মকর্তা উদ্ধার করল, সেটা লাইভে প্রচার হচ্ছিল। সেটা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দিয়েছে কিনা সেটার তদন্ত হওয়া উচিত। এ ধরনের কিছু থাকলে তার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত। তার এ কাজটি এমনভাবে করা উচিত ছিল যেন কুরআন শরিফের পবিত্রতা রক্ষা পায় ও এ নিয়ে যাতে অপপ্রচার না হয়। সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্বও তার ছিল। এটি তদন্তে যদি তার কোনো দায় থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হামলার আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি প্রধান বলেন, এ ধরনের সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ড কখন ঘটবে বা ঘটবে না তা অনুমান করা খুবই জটিল কাজ। কারণ ফেসবুকে কখন কে একটা স্ট্যাটাস লিখবে ও সমাজের একটি অংশ মনে হয় বসে থাকে, যেন এ ধরনের একটি পোস্ট হবে আর সঙ্গে সঙ্গে আমরা কাজে লেগে পড়ব। এ ধরনের কাজ কারা ঘটাবে বা ঘটাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা খুবই কঠিন। আপনারা জানেন এ ধরনের প্রযুক্তির যে বিষয় আছে তা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের হাতে থাকে না। এ পোস্ট কে দিয়েছে সেটা বের করতে সিঙ্গাপুরে ফেসবুকের অফিসে আমরা পাঠাই। তা যদি তাদের আইন অনুমতি দেয়, তাহলে এ তথ্যসূত্র আমরা জানতে পারি। না হলে আমরা জানতেও পারি না যে এই পোস্ট কোথা থেকে হয়েছে, কে দিয়েছে, এর পেছনে কে বা কারা দায়ী। ফলে আগে থেকে জানাটা খুবই কঠিন।
তবে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই, সাম্প্রতিক যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আইজিপিসহ আমরা বসেছি ও কী করণীয় তা বের করার চেষ্টায় আছি। আমরা থানাগুলোকে দায়িত্ব দিয়েছি। আশা করছি, এখন আর এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। তবে নাগরিকদের কাছে সাহায্য চাই, আপনারা যদি একটা স্ট্যাটাসও দেখেন, শেয়ার না করে আমাদের জানাবেন। তাহলে হয়তো আমরা আরেকটি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়