কক্সবাজার : জহিরুল হত্যার ঘটনায় শিবির নেতা গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

‘ভয়কে জয়’ করেছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

পরের সংবাদ

চৌধুরী হারুনর রশীদ স্মারক বক্তৃতা : করোনা অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বাড়িয়েছে দরিদ্রতা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য, ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক চৌধুরী হারুনর রশীদ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে এই স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।
‘করোনাকালে শ্রম, অর্থনীতি ও পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক স্মারক বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। তিনি বলেন, বৈশ্বিক অতিমারি করোনা আন্তর্জাতিক ও দেশীয় অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, বাড়িয়েছে দরিদ্রতা। মানুষের আয় কমেছে, খাদ্য নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। বৈশ্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। রপ্তানি আয় হ্রাস পেয়েছে। বিভিন্ন বহুজাতিক বিনিয়োগ ও প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে। প্রবাসী আয় হ্রাস পেয়েছে। বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ও ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কর্ম হারিয়েছে অসংখ্য মানুষ। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি খাত। করোনা মহামারির মারাত্মক প্রভাবের কারণে মানুষের জীবন ও জীবিকাকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বেড়েছে নারীর প্রতিসহিংসতাও।
ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রামের সভাপতি তপন দত্তের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন প্রবীণ শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ চৌধুরী, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড চট্টগ্রাম জেলার সহকারী কামান্ডার এ কে এম আলাউদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রনজিৎ দে, নারী নেত্রী নূর জাহান খান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জসীম চৌধুরী সবুজ, টিইউসি নেতা মীর মোহাম্মদ ইলিয়াস। এতে সঞ্চালনা করেন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান।
বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে চৌধুরী হারুনর রশীদ চট্টগ্রামে সর্বাধিক সময় কারাবন্দি ছিলেন। তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম ভাষা সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্দোলনের তিনি ছিলেন অকুতোভয় প্রথম কাতারের সৈনিক।
অসা¤প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী চৌধুরী হারুনর রশীদ শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার রাজনীতিতে যুক্ত হন। তিনি নিষিদ্ধঘোষিত কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন। প্রকাশ্য বাম রাজনৈতিক সংগঠন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপেরও নেতা ছিলেন।
তারা বলেন, ’৬৯-র গণ অভ্যুত্থানে চৌধুরী হারুন আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণ, ছাত্র ইউনিয়ন, শ্রমিক সংগঠন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক চৌধুরী হারুন ত্রিপুরার আগরতলায় ন্যাপ-সিপিবি ও ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা যোদ্ধাদের যুগ্ম কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর তিনি ‘বাংলাদেশ রেল শ্রমিক ইউনিয়নের’ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। দেশের প্রগতিশীল শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি চৌধুরী হারুনর রশীদ। দেশের মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় চৌধুরী হারুনের আদর্শ পাথেয় করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়