কক্সবাজার : জহিরুল হত্যার ঘটনায় শিবির নেতা গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

‘ভয়কে জয়’ করেছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

পরের সংবাদ

গম গবেষণা ইনস্টিটিউট : সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার খুনিকে আটক করেছে র‌্যাব

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর আদাবর থানার গম গবেষণা ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনোয়ার শহীদকে (৭২) ছুরিকাঘাতে হত্যায় জড়িত খুনিকে আটক করেছে র‌্যাব। গতকাল শনিবার র‌্যাব-২ তাকে আটক করে। আটকের পর তাকে হত্যাকাণ্ড নিয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে তার নাম-পরিচয় তৎক্ষণাৎ জানা যায়নি।
র‌্যাবের বিশ্বস্ত সূত্রে এমনটি জানা গেছে। র‌্যাব-২ এর অপস অফিসার এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, এ ঘটনায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বিষয়টি তাদের অধিনায়ক নিজেই দেখছেন। হত্যাকাণ্ড নিয়ে আজ রবিবার সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে শ্যামলীর হানিফ কাউন্টারে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন আনোয়ার শহীদ। এ সময় হানিফ পরিবহনের বাস কাউন্টারের পাশেই হলিল্যান্ড গলিতে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে এক যুবক। পরে স্থানীয়রা আহতাবস্থায় আনোয়ার শহীদকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ফোন দিয়েই স্থানীয়রা বিয়ষটি তার ছোট বোন ফেরদৌস সুলতানাকে জানান। এ ঘটনায় ফেরদৌস সুলতানা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি মামলা করেছেন।
ফেরদৌস সুলতানা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে তার ভাই আনোয়ার শহীদ তার সঙ্গে থাকতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি বাসার বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, হানিফ কাউন্টারে যাবেন। দিনাজপুর থেকে জাকির নামে তার পরিচিত এক ব্যক্তি ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় এসেছেন। তার ডাক্তার দেখানো শেষ হলে আজ (ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার) চলে যাবে। তার সঙ্গে একটু দেখা করে আসি। ছোট বোনকে এ কথা বলেই বাসা থেকে বের হয়ে যান আনোয়ার শহীদ। এর কিছুক্ষণ পর ভাইয়ের ফোন দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা কল করে আনোয়ার শহীদকে ছুরিকাঘাত করার কথা জানান।
ফেরদৌস সুলতানা বলেন, জাকির নামের এক ব্যক্তিকে আমিও চিনি। তিনি দিনাজপুর থাকেন। সেখানে ব্যবসা করেন। তার ভাই সবশেষ দিনাজপুর চাকরি করার সুবাদে জাকিরের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং একপর্যায়ে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। জাকির ঢাকায় এলে প্রায়ই আমাদের বাসায় আসতেন। তবে জাকিরের ফোন নাম্বার না থাকায় আসলে তিনি ভাইকে কল করে বাসস্ট্যান্ড যেতে বলেছিল কিনা তা জানতে পারেননি ফেরদৌস সুলতানা।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আনোয়ার শহীদ বিয়ের করার ১০-১৫ দিনের মধ্যেই তার স্ত্রী অন্য ছেলে সঙ্গে চলে যায়। পরে স্ত্রীকে তালাক দেন আনোয়ার শহীদ। এরপর আর বিয়ে করেননি তিনি। চাকরি জীবন শেষ করে থাকতেন ছোট বোন ফেরদৌস সুলতানার সঙ্গে। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়