কক্সবাজার : জহিরুল হত্যার ঘটনায় শিবির নেতা গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

‘ভয়কে জয়’ করেছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

পরের সংবাদ

আশ্বাসেও কাটছে না অনিশ্চয়তা : ৪২তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১৯১৯ চিকিৎসক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্বপ্নের বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ পাচ্ছেন না ১ হাজার ৯১৯ জন চিকিৎসক। তারা সবাই ৪২তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। পদ স্বল্পতার কারণে অপেক্ষমাণ তালিকায় তাদের রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব, তথ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) কিংবা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতাদের আশ্বাস পেলেও অনিশ্চয়তা কাটছে না।
অপেক্ষমাণ একাধিক চিকিৎসক ভোরের কাগজকে বলেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ২ হাজার চিকিৎসককে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপর চলতি বছরের ৩০ জুন অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সভায় আরো ৪ হাজার চিকিৎসকের নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। এ হিসাবে মোট ৬ হাজার চিকিৎসক নেয়ার কথা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ৭ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তিতে ৪ হাজারের পরিবর্তে ২ হাজার অতিরিক্ত চিকিৎসক নেয়ার কথা জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখা। ফলে চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ৪২তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল অনুযায়ী মোট ৫ হাজার ৯১৯ জন উত্তীর্ণ হলেও পিএসসি পদ স্বল্পতার কারণে ৪ হাজার জনকে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগের সুপারিশ করে। অবশিষ্ট ১ হাজার ৯১৯ জনকে অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়।
৪২তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা ডা. মেহেদি হাসান ভোরের কাগজকে বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, বিএমএ, স্বাচিপসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আমরা দেখা করে বিষয়টি জানিয়েছি। দেশে চিকিৎসক সংকট রয়েছে এটি তারা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেছেন। আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের অনিশ্চয়তা কাটছে না। মন্ত্রী, সচিব আমাদের জানিয়েছেন ৪ হাজার চিকিৎসকের নিয়োগের কাজটি সম্পন্ন হলে আমাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আশা করছি, চলতি মাসের শেষে অথবা ডিসেম্বর মাসে ৪ হাজার চিকিৎসকের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
৪২তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা ডা. সুব্রত তালুকদার ভোরের কাগজকে বলেন, দেশে এখনো চিকিৎসক সংকট রয়েছে। সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেও জানিয়েছেন, সারাদেশে চিকিৎসকের ১১ হাজার ৩৬৪টি পদ শূন্য রয়েছে। এমনকি ৬৪ জেলার সব সরকারি হাসপাতালেই কম-

বেশি চিকিৎসক পদ ফাঁকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৩ হাজার ১৮৫টি পদ ফাঁকা রয়েছে। আমাদের নিয়োগের বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায় থেকে আমরা আশ্বাস পেয়েছি। আমরা এখন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।
এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ ভোরের কাগজকে বলেন, ৪২তম বিসিএস উত্তীর্ণ অপেক্ষমাণ চিকিৎসকদের নিয়োগের বিষয়টি সম্পর্কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অবগত আছে। আর এ কথা সত্য যে, দেশে চিকিৎসক সংকট আছে। পর্যায়ক্রমে অপেক্ষমাণ চিকিৎসকদের নিয়োগ দেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলা দরকার।
বিএমএ মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ভোরের কাগজকে বলেন, তারা যেহেতু পিএসসির মাধ্যমে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন সেহেতু আমাদের পরামর্শ ছিল, দ্রুত সময়ে চিকিৎসক নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্য প্রক্রিয়ায় না গিয়ে তাদের মধ্য থেকেই যাতে নিয়োগ দেয়া হয়। এতে করে প্রক্রিয়াটিও সহজ হবে এবং যারা উত্তীর্ণ হয়ে অপেক্ষমাণ আছেন তাদের চাকরি নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে যে এক ধরণের হতাশা কাজ করছে সেটিও কাটবে। তাই আমরা যৌক্তিকভাবেই পরামর্শটি দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। সুযোগ হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও বিষয়টি উপস্থাপন করব।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভোরের কাগজকে বলেন, ৪২তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে অপেক্ষমাণ চিকিৎসকদের নিয়োগের বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের আন্তরিকতা আছে। তবে আগে ৪২তম বিসিএস থেকে যে ৪ হাজার চিকিৎসকের নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেটি সম্পন্ন হতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়