দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ : চট্টগ্রামে বিএনপির বিক্ষোভ

আগের সংবাদ

ঢিমেতালের ফাঁদে সোনালি ব্যাগ : সিলিং মেশিনে আটকে আছে উৎপাদন, বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ

পরের সংবাদ

সরকারি বিদ্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠনে অনিয়ম

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ গঠনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ দাতা সদস্যদের না জানিয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষক হাজিরার বায়োমেট্রিক যন্ত্র ও কম্পিউটারের প্রিন্টার কেনার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৭ সালে ওই বিদ্যালয়ে ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পাঁচ বছরেও যন্ত্র ২টি না কিনে সমুদয় অর্থ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার ময়না ইউনিয়নের উত্তর গৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আসন্ন ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিসহ বেশির ভাগ দাতা সদস্যই এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
উত্তর গৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. মোশাররফ হোসেন (পটু মিয়া) জানান, কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। বিদ্যালয়টির দাতা সদস্য ১২ জন। নিয়মানুযায়ী দাতা সদস্যরা মিলে তাদের মধ্য থেকে একজন প্রতিনিধি মনোনীত করবেন। যিনি ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রাপ্ত হবেন। কিন্তু দাতা সদস্যরা যদি ঐক্যমতে পৌঁছতে ব্যর্থ হন সেক্ষেত্রে সব দাতা সদস্যদের নামের তালিকাই উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানোর বিধান রয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান একজনকে মনোনীত করবেন। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ১২ জনের পরিবর্তে ছয়জন দাতা সদস্যের নামের তালিকা উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে পাঠান। উপজেলা চেয়ারম্যান ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন আহমেদকে মনোনীত করেছেন।
এ ব্যাপারে গৌরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ কর বলেন, ১৯ অক্টোবর ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আমি নোটিস করেছিলাম। যারা এসেছিল তাদের উপস্থিতিতে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে উপস্থিত ছয়জনের নামই আমি উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাই।
প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, দাতা সদস্য হিসেবে আমি সাতজনের নাম জানি। একজনের বিষয়ে সন্দেহ থাকায় ছয়জনের নাম পাঠিয়েছি। সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার (অব.) মো. মোশাররফ হোসেনের নাম দাতা সদস্য হিসেবে বাদ পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, তিনি (বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন) যে জমি স্কুলকে দান করেছিলেন তা আবার নিজের নামে রেকর্ড করে নিয়েছেন। তাই তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষক এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক কাগজপত্র প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু আহাদ মিয়া বলেন, দাতা সদস্যদের নামের তালিকা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদ দেয়া হয়েছে কিনা বিষয়টি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়