দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ : চট্টগ্রামে বিএনপির বিক্ষোভ

আগের সংবাদ

ঢিমেতালের ফাঁদে সোনালি ব্যাগ : সিলিং মেশিনে আটকে আছে উৎপাদন, বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ

পরের সংবাদ

নৌযান চলাচলে ভোগান্তি : ডুবোচরে প্রাণহীন আগুনমুখা নদী

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কামরুল হাসান রুবেল, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) থেকে : সাত নদীর মোহনা হওয়ায় নদীটি ছিল উত্তাল ও খরস্রোত। তাই নাম রাখা হয়েছিল আগুনমুখা নদী। আর এই নদীটিই এখন ডুবোচরে প্রাণহীন। নদীর বিভিন্ন অংশে জেগেছে অসংখ্য ডুবোচর। জোয়ারের সময় ডুবোচরগুলো দেখা না গেলেও ভাটার সময় স্পষ্ট দেখা যায়। ডুবোচরের কারণে নৌযান চলাচল করতে গিয়ে পোহাতে হচ্ছে নানান রকমের ভোগান্তি। প্রায় সময়ই দোতলা লঞ্চ আটকে গিয়ে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। আগুনমুখা নদীর অবস্থান পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা উপজেলার মাঝামাঝি। নদীর উত্তর পাড়ে গলাচিপা উপজেলা, দক্ষিণে রাঙ্গাবালী উপজেলা এবং পশ্চিম পাশে রাবনাবাদ নদের মোহনায় নির্মিত পায়রা সমুদ্রবন্দর। রাবনাবাদ, দারচিরা, বুড়াগৌরাঙ্গসহ সাতটি নদীর মোহনা পড়েছে আগুনমুখায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আগুনমুখা অতিক্রম করে এসব নদীতে যেতে হয়। সরজমিনে দেখা যায়, এ নদী পাড়ি দিয়েই দেশের বিভিন্ন স্থানে আসা যাওয়া করে রাঙ্গাবালী উপজেলার দুই লাখ মানুষ। রাঙ্গাবালীর মানুষের গন্তব্যস্থান যেখানেই হোক না কেন আগুনমুখাকে বাদ দিয়ে নয়। আগুনমুখার বুক চিরেই পৌঁছাতে হয় গন্তব্যে। বাহন লঞ্চ অথবা ট্রলার। কিন্তু এই লঞ্চ-ট্রলার চলাচলে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নদীর তলদেশ থেকে উঠে আসা ডুবোচর। আর এ ডুবোচরের কারণে নদীতে শত শত ফিশিং বোট ও সমুদ্রগামী জাহাজ মারাত্মক ঝুঁঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ডুবোচরের কারণে ঢাকাগামী দোতলা লঞ্চকে ভাটার সময় ৩-৪ ঘণ্টা পর্যন্ত নদীর মাঝখানে নোঙর করে থাকতে হয়। স্থানীয়রা জানায়, ডুবো চরের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম প্রায়। এ কারণে যাতায়াত অসুবিধায় ভুগছে রাঙ্গাবালী উপজেলার দুই লাখ মানুষ। এখানকার মানুষকে জেলা শহর, রাজধানী ঢাকা কিংবা অন্য কোথায়ও গেলে এ নদী পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু ডুবোচরের কারণে প্রায় সময়ই নদীর মাঝ পথে গিয়ে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ঢাকা-পায়রাবন্দর রুটে চলাচলকারী এমভি ইয়াদ লঞ্চের ম্যানেজার মনির হোসেন জানান, আগুন মুখা নদী পাড়ি দিয়ে ঢাকা থেকে পায়রাবন্দর এবং কলাপাড়া উপজেলায় পৌঁছাতে হয়। ডুবোচরের কারণে লঞ্চ চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভাটার সময় লঞ্চ বালুতে আটকে যায়, পরবর্তী জোয়ার আসার আগ পর্যন্ত লেগে থাকে। এতে প্রায় দেড়-দুই ঘণ্টা সময় বেশি লেগে যায়। বিশেষ করে বড় লঞ্চ চলাচল করতে বেশি সমস্যা হয়।
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান মহিব জানান, ডুবোচরের বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি। আমরা শিগগিরই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়