দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ : চট্টগ্রামে বিএনপির বিক্ষোভ

আগের সংবাদ

ঢিমেতালের ফাঁদে সোনালি ব্যাগ : সিলিং মেশিনে আটকে আছে উৎপাদন, বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ

পরের সংবাদ

নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস : ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাসহ গ্রেপ্তার আরো ৩

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাষ্ট্রায়ত্ত ৫ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এমদাদুল হক খোকন, জনতা ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা সোহেল রানা ও ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী এ বি জাহিদ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ডিবির তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহাদাত হোসেন সোমা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকায় আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে দুজন সাক্ষীও পাওয়া গেছে, যারা তাদের প্রশ্নফাঁস করতে দেখেছেন। এ বিষয়ে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন।
এদিকে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ও রূপালী ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলো- রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল, জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এমদাদুল হক খোকন ও সোহেল রানা। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংক দুটির সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জনতা ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে, বরখাস্ত করার বিষয়ে কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ নিয়ে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
রূপালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, কেউ যদি এ ধরনের অপরাধ করেন, তবে নিয়ম অনুযায়ী তিনি সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত হয়ে যান। এর আগে, গত বুধবার একই অভিযোগে পূবালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়। পূবালী ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা ব্যাংকের রাজধানীর ইমামগঞ্জ শাখায় কর্মরত ছিলেন। তাকেও গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত ৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এইউএসটি) একজন আইসিটি প্রযুক্তিবিদ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দারা। পরে ডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে একটি চক্র দুই শতাধিক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৬০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রটি এর আগেও অনুষ্ঠিত হওয়া ৪টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস করেছে বলে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এ চক্রের মধ্যে ৩টি সরকারি ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৫টি ব্যাংকের ১ হাজার ৫১১টি ‘অফিসার ক্যাশ’ শূন্যপদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক ১৮৩টি, জনতা ব্যাংক ৫১৬টি, অগ্রণী ব্যাংক ৫০০টি, রূপালী ব্যাংক ৫টি এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ৭টি পদ রয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার পর পরীক্ষার্থীদের অনেকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তোলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি ও পুরো পরীক্ষা সম্পাদনের দায়িত্বে ছিল আহসানল্লাহ ইউনির্ভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়