দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ : চট্টগ্রামে বিএনপির বিক্ষোভ

আগের সংবাদ

ঢিমেতালের ফাঁদে সোনালি ব্যাগ : সিলিং মেশিনে আটকে আছে উৎপাদন, বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ

পরের সংবাদ

দুটি রায়ই হতে পারে তরুণদের মানস গঠনের দিকনির্দেশনা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাদক সেবন এবং মাদক বহনের অভিযোগে এ বছরের ১৯ অক্টোবর এবং ১৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় দুটি যুগান্তকারী এবং ব্যতিক্রমী রায় প্রদান করেছেন আদালত। এই দুটি যুগান্তকারী এবং অনুকরণযোগ্য রায়ের একটি গত ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা প্রদান করেন। পত্রিকান্তরে প্রকাশ, গত বছরের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের ষোলশহর ২ নম্বর গেট উড়াল সড়কে মাদক নেয়ার অভিযোগে দুই শিশুকে আইনের আওতায় আনা হয়। অভিযোগ গঠনের শুনানিকালে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতের কাছে ক্ষমা চায়। তাদের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় আদালত সংশোধনীমূলক আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, এরা শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আটকের পরিবর্তে সমাজসেবা প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে মা-বাবার হেফাজতে থাকবে। এ সময় প্রত্যেকে মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা পাঁচটি বই ও দুজন মনীষীর জীবনীর ওপর দুটি করে বই পড়বে। একই সঙ্গে মাদকের কুফল ও নিজেদের জীবনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে একটি করে রচনা লিখে প্রবেশন কর্মকর্তাকে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শুধু বই পড়লেই হবে না, বই পড়ে কী বুঝেছে, তার সারসংক্ষেপ প্রবেশন কর্মকর্তাকে শোনাতে হবে। এ সময়ের মধ্যে অন্য কোনো অপরাধ করলে বা শর্ত ভঙ্গ করলে এই আদেশ বাতিল হয়ে তাদের সাজা ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করেছেন আদালত। তাদের সদাচরণসহ এ বিষয়ে প্রবেশন কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দেবেন।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানা এলাকায় ৩০ পিস ইয়াবা উদ্ধার মামলার আসামি মো. রাজিব হোসেন রাজুকে শাস্তি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বই পড়া, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি দেখা ও পাঁচটি গাছ রোপণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার শাস্তি হিসেবে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সংশোধনের জন্য বিচারক রায়ে আসামিকে শাস্তি হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রকাশিত ‘একাত্তরের দিনগুলি’, ‘একাত্তরের চিঠি’ এবং নৈতিকতার ওপর প্রকাশিত দুটি বই পড়তে বলেছেন। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত সিনেমা ‘আগুনের পরশমণি’ দেখতে বলেছেন। এছাড়া দুটি বনজ ও দুটি ফলদ বৃক্ষ রোপণের আদেশ দেয়া হয়েছে।
এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, সাম্প্রতিককালে তরুণ সমাজ অধিকতর বিপথগামী হয়ে পড়ছে। এরা শুধু মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে তাই নয়, নানা ধরনের সহিংসতায়ও জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর গ্যাংয়ের নানা ধরনের লোমহর্ষক ঘটনা প্রায়ই পত্রিকান্তরে প্রকাশিত হচ্ছে। এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা খুন, জখম, নির্যাতন, পাচার ইত্যাদি সব ধরনের অপরাধে অভিযুক্ত হচ্ছে। টিকটক তরুণ প্রজন্মের জন্য আরেক সর্বনাশা নাম। যথাযথ সচেতনতার অভাবে তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহ তরুণ প্রজন্মকে বিপথে ধাপিত করছে। সাম্প্রতিক সময়ে মতলববাজদের হিংস্র থাবায় যে ধর্মীয় সহিংসতা সংঘটিত হলো তাতে তরুণ প্রজন্মের উগ্র তৎপরতা সচেতন মানুষ মাত্রই ব্যথিত হয়েছেন। এখানে তরুণরা অতীতের মতো প্রতিরোধমূলক ভূমিকার পরিবর্তে সহিংসতায় লিপ্ত ছিল বেশি। নৈতিকতা আর মূল্যবোধের চরমতম অবক্ষয় তরুণ প্রজন্মকে এমন করে চরম সর্বনাশা পথে এগিয়ে দিচ্ছে।
তরুণ সমাজের এই উগ্রতা, বিপথগামিতা আর সর্বনাশের কারণ বিশ্লেষণ করলে যা কিছু পাওয়া যাবে, তার কিছু বিক্ষিপ্ত স্ন্যাপশট এখানে উল্লেখ করছি।
স্বাধীনতার চার মূলনীতি আজকের তরুণ প্রজন্ম ধারণ করে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশের কোনো সৃজনশীল উদ্যোগ কোনো স্তরেই নেই। এ সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই নতুন প্রজন্মের। আজকাল কতটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়? কত সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হয়, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। কেন শতভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হয় না? কোনো জবাবদিহিতাও নেই। ভেতরে ভেতরে ঘুণ পোকায় তরুণ প্রজন্মকে শেষ করে দিচ্ছে। মননশীলতার চর্চা এবং উন্নয়নের কোনো প্রকার উদ্যোগও দেখি না। বরং পদে পদে প্রতিবন্ধকতার খবর আসছে। মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা এখন রূপকথার গল্পে পরিণত হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের কারিকুলাম পরিবর্তন হয়েছে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। নৈতিকতা, মূল্যবোধ বিকাশে সহায়তা করে এমন সব লেখা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে এখনকার শিক্ষাব্যবস্থা তরুণ প্রজন্মের মানস গঠনের সহায়ক হচ্ছে না। সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে সুস্থ জীবন গঠনের কোনো উদ্যোগ এখনকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের টাকা কামানোর মেশিন হিসেবে তৈরি করছে। এখন ডজনখানেক টিউটর ছাড়া মেধা তালিকায় নাম লেখানো যায় না। এখানে এখন নৈতিকতা আর মূল্যবোধের চর্চা হয় না। কারণ আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিতর্ক ক্লাব, গণিত ক্লাবের অস্তিত্ব নেই। সাংস্কৃতিক সংগঠন, দেয়াল পত্রিকার আর দেখা যায় না। সরকারের নির্বাহী আদেশে হেফাজতের দাবির প্রেক্ষিতে ‘ধর্মকে অগ্রাধিকার দিয়ে’ পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে তাদের সমমনা পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিশন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ‘পাঠ্যপুস্তক সংশোধনের ক্ষেত্রে ধর্ম এবং সাম্প্রদায়িকতার প্রভাব এতটাই পড়েছে যে- তার কাছে অন্য সমস্যাগুলো গৌণ হয়ে গেছে’- বলেছেন জাতীয় নাগরিক কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। পাঠ্যপুস্তকে ‘বানান ভুল’, ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য বা ভুল তথ্য’ এবং ‘সাম্প্রদায়িকতা’- এই তিনটি সমস্যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে। তবে বাংলা বইয়ে ‘ধর্ম এবং সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাব বেশি পড়েছে’ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। হেফাজতের দাবির সঙ্গে পাঠ্যপুস্তকে আনা সংশোধনীর কোথায় মিল আছে, তাও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়। অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেছেন, ‘মূল সমস্যা হচ্ছে সাম্প্রদায়িকীকরণ। যেমন তারা বলছে, হিন্দু লেখকদের বাদ দিতে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা সোনার মন্দিরে বাদ দিতে হবে।… হুমায়ুন আজাদের লেখা বই নামের কবিতা বাদ দেয়া হয়েছে। এটি নাকি কুরআন নিয়ে লেখা হয়েছে। কিন্তু আসলে তা সঠিক নয়। এসবের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক শক্তি কৌশলে একটা আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে।’ তরুণ সমাজের মগজকে সাম্প্রদায়িকতার বিষে বিষাক্ত করে তোলা হচ্ছে। যার ফলাফল আমরা নিকট অতীতে পেয়েছি।
পাড়ায় পাড়ায় পাঠাগার গড়ার সেøাগান এখন পাল্টে গেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিশু-কিশোর সংগঠনের বিকাশ হচ্ছে না। উদীচী, কচিকাঁচার আসর, খেলাঘর আসরের কার্যক্রম আজ নেই বললে চলে। এক সময় সেøাগান ছিল পাড়ায় পাড়ায় খেলাঘর গড়ি। এখন এসব সংগঠন মৃতপ্রায়। এমন পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা কতটা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তবে জায়গাটা খালি পড়ে নেই, সেই স্থান দখল করে নিয়েছে মৌলবাদী সংগঠনগুলো। একসময় শীতকাল এলেই গ্রামে যাত্রা, নাটক করার ধুম লাগত। এখন এসবের দেখা মিলে না। যাত্রা, কীর্তন, ভাটিয়ালি, মুর্শিদী কী জিনিস আজকালকার তরুণ প্রজন্ম জানেই না। কদিন আগে একাত্তর টেলিভিশনকে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন বাচ্চু বলেছেন, বাঙালি সংস্কৃতির চর্চার লক্ষ্যে যা কিছু আয়োজন হয়, তাতে প্রশাসন থেকে অসহযোগিতা করছে। হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির চর্চার ক্ষেত্র ক্রমেই সংকুচিত করে দিচ্ছে। আজ আমার হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি ধ্বংসের মুখোমুখি।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার জন্য ধর্মনিরপেক্ষ, হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির চেতনাসমৃদ্ধ প্রশাসনের বিকল্প নেই। আজকালকার পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হয়, আওয়ামী লীগ কিংবা প্রশাসন বঙ্গবন্ধুর জাতীয় চার মূলনীতি নিজেদের মধ্যে ধারণ করে না। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘আমি প্রথমে মানুষ, তারপর বাঙালি, তারপর মুসলমান।’ আজকালকার নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর এই বক্তব্যের মর্মার্থ বুঝে কিনা সন্দেহ আছে। আজকের রাজনীতিতে মেধার চর্চা নেই, ত্যাগীদের মূল্যায়ন নেই। সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতা, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে অভিযুক্তকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। আজকাল দুর্বৃত্তায়নের মহোৎসব চলছে। মূল্যবোধের সংকট চলছে তীব্রভাবে। নানা অপকর্ম আর অরাজকতা তারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র। দল হিসেবে এবং সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ এসব ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে আস্থার সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। ভাববার দরকার আছে, কেন এমনটা হচ্ছে। এই আস্থাহীনতার কারণে কোনো উন্নয়নের সুফল ঘরে তুলতে পারবে না। এ পরিস্থিতিতে মেগা উন্নয়নগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে। সব উন্নয়ন কাগুজে উন্নয়নে পরিণত হচ্ছে।
উল্লেখিত প্রেক্ষাপটে বেদনাহতচিত্তে কবুল করতে হয়, অনৈতিকতা, মূল্যবোধহীনতা আর সংস্কৃতিহীনতা এর মূল কারণ। তরুণ সমাজ মাদকাসক্ত ও হৃদয়হীনতার পথে হাঁটছে। মননশীল চর্চার অভাবে তরুণ সমাজ পথ হারিয়েছে। তাদের কাক্সিক্ষত পথে ফিরিয়ে আনতে হবে। মানস গঠনে অর্থ ও সময় ব্যয় করতে হবে, যা কিনা এখন হচ্ছে না। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম এবং ঢাকার আদালতের উল্লেখিত যুগান্তকারী এবং ব্যতিক্রমী রায় দুটিই হতে পারে আমাদের তরুণ প্রজন্মের মানস গঠনের দিকনির্দেশনা। এই দুটি যুগান্তকারী এবং ব্যতিক্রমী রায় তরুণ প্রজন্মের মানস গঠনে আমাদের ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। মানস গঠনের জন্য তরুণ প্রজন্মকে ‘একাত্তরের দিনগুলি’, ‘একাত্তরের চিঠি’, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘আমার দেখা নয়া চীন’, ‘৭ মার্চের ভাষণ’সহ মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা নানা বই এবং মনীষীর জীবনী পাঠ করাতে হবে। শুধু পড়লেই হবে না, এসব বই পড়ে কী বুঝেছে, তারও সারসংক্ষেপ শোনানোর আয়োজন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় করতে হবে। বিতর্ক প্রতিযোগিতা, উপস্থিত প্রতিযোগিতা, নির্ধারিত বক্তৃতার আয়োজন থানা, জেলা এবং জাতীয় পর্যায়ে করতে হবে। সামাজিক কর্মকাণ্ডে তাদের যুক্ত করতে হবে। নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব শুধু পাঠ্যবইয়ে পড়লেই হবে না, তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগের যথাযথ রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ থাকতে হবে। হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার নবতর ক্ষেত্র উন্মোচিত করতে হবে। এক্ষেত্রে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সংমিশ্রণে সৃজনশীল চর্চার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করতে হবে। এসব কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থাও থাকতে হবে। নতুন প্রজন্মের মানস গঠনে নতুন ভাবনার পথ উন্মোচন করে দিয়েছেন বলে আদালতের প্রতি পরিশেষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সরকারের উচিত হবে এ পথ ধরেই এগিয়ে চলা।
কুমার প্রীতীশ বল : কথাসাহিত্যিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়