দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ : চট্টগ্রামে বিএনপির বিক্ষোভ

আগের সংবাদ

ঢিমেতালের ফাঁদে সোনালি ব্যাগ : সিলিং মেশিনে আটকে আছে উৎপাদন, বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ

পরের সংবাদ

খামারে স্বাবলম্বী হামিপুরের মাহফুজার রহমান : ৫ গরু দিয়ে শুরু আট বছরে ৯৬টি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দেলোয়ার হোসেন, দিনাজপুর থেকে : হাকিমপুর উপজেলার ছাতনি গ্রামে উন্নত জাতের গরুর খামারে স্বাবলম্বী হয়েছেন যুবক মাহফুজার রহমান বাবু (৪০)। ৫টি উন্নতজাতের গরু দিয়ে খামার শুরু করে এখন খামারে ৯৬টি গরু রয়েছে। খামারে সবচেয়ে বড় আকারের পাঁচটি গরু আছে যা ৭ থেকে ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার গরুর খামার ঘুরে দেখা গেছে, ফিজিয়াম ও শঙ্কর জাতের ৬০টি গাভী ও ৩৬টি বাছুরসহ আড়া গরু রয়েছে। উন্নতমানের শেডে রেখে গরুগুলোকে পরিচর্যা করা হচ্ছে। প্রতিদিন খামারে ৮ হাজার টাকার ভুসি, ফিড ১ হাজার, ভুট্টা ২ হাজার ও ৫ হাজার টাকার ঘাস মোট ১৬ হাজার টাকার খাদ্যের প্রয়োজন হয় এই খামারে।
মাহফুজার রহমান বাবু জানান, খামার পরিচার্য করা জন্য ৮ জন শ্রমিক রয়েছে। দিনে ৫ জন ও রাতে ৩ জন শ্রমিক খামারে কাজ করে। ঘাস কাটার মেশিন রয়েছে, তা দিয়ে সহজে ঘাস ও খড় কাটা হয়। একজন পশু চিকিৎসক প্রতিদিন খামারের গরুগুলো রোগ-বালাইর বিষয়ে দেখাশুনা করেন। বর্তমান খামারে গরুর কোনো রোগ-বালাই নেই, প্রতিটি গরু সুস্থ রয়েছে। প্রতিদিন এক একটি গাভি ১০ থেকে ১৫ লিটার দুধ দিয়ে থাকে। তা থেকে প্রায় ৫ মণ দুধ সংগ্রহ হয়। পার্শ্ববর্তী বিরামপুরে ব্র্যাক অফিসে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে এই দুধ ক্রয় করে নিয়ে যায়। খামারের গরু থেকে যে গবর পাওয়া যায়, সেই গবরগুলো ট্রাক্টর বোঝাই দেড় হাজার টাকা ও পাওয়ার টিলার বোঝাই ৫০০ টাকা করে বিক্রি হয়। বাবু আরো জানান, ব্যবসায়ী হিসেবে আমি এই খামার তৈরি করেছি। ৮ বছর আগে প্রথমে ৫টি উন্নতজাতের বিদেশি গরু দিয়ে এই খামার শুরু করি। পরে আস্তে আস্তে আরো গরু আমদানি করি। বর্তমান আমার খামারে ৯৬টি গরু রয়েছে। আরো বেশি ছিল সেগুলো বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিটি গাভি বছরে একবার করে বাচ্চা দিয়ে থাকে। খামারে প্রতিদিন মোট ব্যয় হয় প্রায় ১৮ হাজার টাকা এবং দুধ ও গোবর থেকে আয় প্রায় ১৫ হাজার টাকা। তিনি আরো জানান, খামার ব্যবসা করে আমি নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছি। প্রতি বছর কুরবানি ঈদে ভালো দামে গরু বিক্রি করে আসছি। এলাকার অনেক বেকার যুবক আমার খামার দেখে খামার তৈরিতে আগ্রহ হচ্ছে এবং খামার সম্পর্কে জানতে পারছে। অনেকেই আবার ২/৪টি করে দেশি-বিদেশি গরু কিনে বাড়িতে খামার তৈরি করছে। আমার খামারে বর্তমান প্রায় ২ কোটি টাকার গরু রয়েছে। এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ জানান, হাকিমপুর উপজেলার ছাতনি গ্রামের মাহফুজার রহমান বাবুর গরুর খামারটি এলাকার একটি আলোচিত খামার। এই খামারে সফলভাবে গরু প্রতিপালন করে খামারি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তার খামারের অবস্থা থেকে এলাকার যুবকরা খামার ব্যবসায় আগ্রহ পাচ্ছে। পশুসম্পদ অধিদপ্তর থেকে খামারিদের সবধরনের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয়। বাবুর খামারে সব গরুই উন্নত জাতের। আমরা প্রতিনিয়ত পশু হাসপাতাল থেকে তার খামারকে সহযোগিতা করে আসছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়