দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ : চট্টগ্রামে বিএনপির বিক্ষোভ

আগের সংবাদ

ঢিমেতালের ফাঁদে সোনালি ব্যাগ : সিলিং মেশিনে আটকে আছে উৎপাদন, বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ

পরের সংবাদ

আত্মবিশ্বাসেই ডুবল ইংল্যান্ড

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নিউজিল্যান্ড দলটি ক্রিকেটবিশ্বে সব সময়ই সমীহ-জাগানিয়া একটি দল। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে তারা। ওদিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করল মরগান বাহিনী। ২০১৫ সাল থেকে নিউজিল্যান্ড ধীরে ধীরে ক্রিকেট বিশ্বে নিজেদের দাপট প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করে। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ২০১৯ সংস্করণেও ফাইনাল খেলেছে তারা। ভাগ্য সহায় না হওয়ায় গতবার বিশ্বকাপটা জেতা হয়নি কিউইদের। জয়ের ক্ষুধা বেড়েই চলেছে দিন দিন।
কিউইরা এবার ফেয়ারনেস ক্রিকেট খেলেছে। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তারা অসাধারণ খেলেছে। উইলিয়ামসনরা সব সময় লড়াই করার মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামে। ব্ল্যাক ক্যাপসরা মানসিকভাবে বেশ উন্নত। তারা খেলার আগে হারে না। ইংল্যান্ডের হারের অনেক কারণ রয়েছে। প্রথমত, ইংলিশরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে হেরেছে। তারা হয়তো ভেবেছিল ১৬৬ রান হয়েছে, এটা ফাইট করার মতো স্কোর। নিউজিল্যান্ডের ৪ উইকেট পতন হয়েছে ১৫ ওভারে। শেষ ৫ ওভারে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য পৌঁছাতে পারবে না। ভেবেছিল ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ড প্রথম থেকে পরিকল্পনামাফিক খেলছে। এর সুফল হিসেবেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। কিউইদের বিপক্ষে শেষ দিকে বোলিং নিয়ে

ইংল্যান্ড সঠিক পরিকল্পনা সাজাতে পারেনি। পুরো টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ড খাটো লেংথে বল করার চেষ্টা করেছে এবং ব্যাটের স্টিকারে লাগাতে চেয়েছে। এবং তারা ওই পরিকল্পনা নিয়েই খুশি ছিল। কিন্তু ভাগ্য বদলে দেয়া সেই ওভারে জর্ডান ওয়াইডে বল করেছে, ব্যাটের সামনে ফেলেছে এবং জিমি নিশাম ম্যাচের রূপ বদলে দিয়েছে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ড্যারিল মিচেল ও জিমি নিশামের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৫ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড। ১৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিলকে হারায় তারা। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক উইলিয়ামসনও। কিন্তু এক পাশ আগলে রেখে খেলার শেষ দিকে জ্বলে ওঠেন মিচেল এবং এর আগে ১১ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে যান জিমি নিশাম। অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মিচেল।
শেষ ৫ ওভারে ৬০ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের। লিয়াম লিভিংস্টোনের দুর্দান্ত এক ওভারে সেটা ৪ ওভারে ৫৭ রানের কঠিন সমীকরণ হয়ে যায়। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সেটাই মিলিয়ে ফেলল মাত্র ৩ ওভারেই। স্লগ ওভারে প্রতিপক্ষকে আটকাতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড। ১৭তম ওভারে ২৩ রান দেন ক্রিস জর্ডান। শেষ দুই ওভারে ২০ রান দরকার ছিল নিউজিল্যান্ডের। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে হতাশ করেন ক্রিস ওকস। রান আটকাতে এসে উল্টো ২০ রান উপহার দিয়ে দিয়ে যান এ পেসার। ড্যারিল মিচেলের কথা আলাদাভাবে না বললেই নয়। এ কিউই ওপেনার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে দলকে জয়ের বন্দরে নোঙর করান। লক্ষ্যণীয়, এবার বিশ্বকাপে যারা টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে, তারা অধিকাংশ ম্যাচে রান চেজ করে জিতেছে। ম্যাচে যারা রাতে ফিল্ডিং করে, তারা সমস্যায় পড়ে। বোলাররা ছন্দ ধরে রাখতে পারেন না; ইংল্যান্ডের বোলাররা যা করেছে। যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়