দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ : চট্টগ্রামে বিএনপির বিক্ষোভ

আগের সংবাদ

ঢিমেতালের ফাঁদে সোনালি ব্যাগ : সিলিং মেশিনে আটকে আছে উৎপাদন, বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ

পরের সংবাদ

অতিরিক্ত দামে পেট্রল অকটেন বেচলে কঠোর ব্যবস্থা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গণপরিবহনে বাস ভাড়া বাড়ানোর পর বাস ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলছে। ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর বাড়তি দামে পেট্রল ও অকটেন যেন কেউ বিক্রি করতে না পারে সেজন্য সতর্ক উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। অতিরিক্ত দামে কোনোভাবেই পেট্রল পাম্পগুলো পেট্রল ও অকটেনের মতো জ্বালানি তেল বিক্রি করতে পারবে না। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় থেকে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ জ্বালানি তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে বা সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দাম নিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার নির্ধারিত দামের (ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে অকটেন প্রতিলিটার ৮৯ টাকা এবং পেট্রল প্রতিলিটার ৮৬ টাকা) অতিরিক্ত দামে কোনোক্রমেই কোনো পেট্রল পাম্প জ্বালানি তেল বিক্রি করতে পারবে না। বিজ্ঞপ্তিতে ‘পেট্রোল-অকটেন নিয়ে গুজব’ প্রসঙ্গে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ এর ব্যাখ্যায় বলেছে, বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীন বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি তেলের সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে দেশে অকটেন ও পেট্রলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। গত ৯ নভেম্বর অকটেন ও পেট্রলের মোট মজুত ছিল ৫৫ হাজার ৮০০ মেট্রিক টনের বেশি।
এছাড়া প্রতি বছরের মতো চলতি বছর চাহিদানুযায়ী বিপিসির আমদানি পরিকল্পনা বা আমদানি সূচি অনুযায়ী নভেম্বর মাসে একটি পার্সেলে প্রায় ১৯ হাজার মেট্রিক টন অকটেন ইতোমধ্যে আমদানি করা হয়েছে।
অপর একটি পার্সেলে ২০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি অকটেন আমদানি করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ডিসেম্বর মাসে ৬৫ হাজার মেট্রিক টনের বেশি অকটেন আমদানি সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। অন্যদিকে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এবং জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশীয় প্ল্যান্টসমূহে অকটেন ও পেট্রল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে- যা জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহকে আরো সুসংহত করবে।
উল্লেখ্য, দেশীয় উৎপাদন দ্বারা পেট্রলের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে। দেশে অকটেন ও পেট্রলের স্বাভাবিক গড় মাসিক চাহিদা যথাক্রমে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমান মজুত, আমদানি পরিকল্পনা ও দেশীয় উৎপাদন দ্বারা এই চাহিদা সহজেই পূরণ করা সম্ভব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়