চকবাজারে প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন

আগের সংবাদ

তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি : বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর ফ্রিল্যান্সার দেশ

পরের সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের হুঁশিয়ারি : তাইওয়ানের সঙ্গে মেলামেশা ‘বিপজ্জনক’ খেলা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রতিনিধিদলের তাইওয়ান সফর ‘এক চীন’ নীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ওয়াশিংটনের উচিত এখন থেকেই তাইওয়ানের সঙ্গে সব ধরনের আনুষ্ঠানিক লেনদেন বন্ধ করে দেয়া। গতকাল বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মেলামেশা এক বিপজ্জনক খেলা। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মার্কিন সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের অজ্ঞাতসংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠিত একটি দল সামরিক বিমানে করে সে দেশের রাজধানী তাইপেতে নেমেছে, গত মঙ্গলবার তাইওয়ানের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ধরনের ‘উসকানিমূলক’ সফরের নিন্দা জানায়। বেইজিং একই দিন তাইওয়ান প্রণালিতে টহল বিমান পাঠানোর কথাও নিশ্চিত করে। চীন বরাবরই তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেব দেখে। তাইওয়ান স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা চালালে স্বশাসিত দ্বীপটিকে দখল করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি তারা।
অন্যদিকে তাইওয়ানের এখনকার সরকার দ্বীপটিকে সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ বিবেচনা করে। নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে তারা পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও কূটনৈতিক আদান-প্রদানও বাড়িয়েছে। এসব নিয়ে সা¤প্রতিক মাসগুলোতে বেইজিং-তাইপে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। বছরখানেকের বেশি সময় ধরে চীনের বিমানবাহিনী ধারাবাহিকভাবে স্বশাসিত দ্বীপটির আকাশসীমার কাছে জঙ্গিবিমান পাঠিয়ে তাদের দাপট দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাইওয়ানের। গত মঙ্গলবারও ৪টি চীনা জঙ্গিবিমান ও দুটি নজরদারি বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে ঢুকে পড়ে বলে জানায় তাইপে। চলতি বছরের জুনে তিন মার্কিন সেনেটর এক সংক্ষিপ্ত সফরে তাইওয়ান যান। সেবারের সফরকেও চীন ‘জঘন্য রাজনৈতিক উসকানি’ বলে অভিহিত করে।
পাকিস্তানকে সামরিক সহযোগিতা চীনের : চীনের কাছ থেকে আধুনিক যুদ্ধজাহাজ পেয়েছে পাকিস্তান। সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে বলা হয়, এর আগে এত বড় যুদ্ধজাহাজ অন্য কোনো দেশে রপ্তানি করেনি চীন। চীনের স্টেট শিপ বিল্ডিং করপোরেশন লিমিটেড (সিএসএসসি) তৈরি করেছে এই বৃহদাকার যুদ্ধজাহাজ। এ বিষয়ে চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গেøাবাল টাইমস জানায়, সাংহাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে জাহাজটি আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হয়। যুদ্ধজাহাজটির নাম রাখা হয়েছে ‘পিএনএস তুঘরিল’। এই যুদ্ধজাহাজ প্রাপ্তির সুবাদে পাকিস্তানের নৌবাহিনীর শক্তি ও সামর্থ্য এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গেল বলে সে দেশের সেনাবাহিনী সূত্রে দাবি করা হয়। গেøাবাল টাইমসের দাবি, পিএনএস তুঘরিল প্রযুক্তিগতভাবে অত্যন্ত উন্নত এবং ভূমি থেকে ভূমি, ভূমি থেকে আকাশ কিংবা পানির তলায় শত্রæ নিধনে সমান কার্যকর।
পাশাপাশি এ যুদ্ধজাহাজে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ নজরদারির ক্ষমতা। শত্রæপক্ষের যে কোনো হামলা মোকাবিলায় সক্ষম এই রণতরী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়