চকবাজারে প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন

আগের সংবাদ

তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি : বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর ফ্রিল্যান্সার দেশ

পরের সংবাদ

মুক্তিপণ না পেয়ে কলেজ ছাত্রকে খুন : ঘাতক আটক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার পাইকগাছায় মুক্তিপণের দাবিতে কলেজ ছাত্র আমিনুর রহমানকে (২০) অপহরণের পর হত্যার ৫৮ ঘণ্টা পর তার লাশ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাইকগাছার আগড়ঘাটা বাজার সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। ভাটার সময়ে কপোতাক্ষ নদে স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দেয়। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি মো. জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার পাইকগাছার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার একমাত্র আসামি ফয়সাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গত ৭ নভেম্বর রবিবার রাত ৮টার দিকে জেলার পাইকগাছার আগড়ঘাটার উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে ও কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আমিনুর রহমানকে (২০) মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে ফয়সাল (২২)। ঘটনার দিন রাতেই ফয়সাল আমিনুরের ফোন থেকে তার বাবার কাছে মুক্তিপণের ১৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরদিন সোমবার সকাল থেকে আমিনুরের মোবাইল নম্বর থেকে তারা বাবার নম্বরে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে ফোন আসতে থাকে।
বিষয়টি পুলিশকে জানালে মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে সোমবার দুপুরেই অপরহণকারী ফয়সাল নামে এক যুবককে পুলিশ আটক করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুলকে হত্যার কথা স্বীকার করে আটক ফয়সাল। সে জানায় প্রেমিকার আবদারে নিজের জন্য মোটরসাইকেল কিনতেই তাকে অপহরণ করে। মুক্তিপণ না পেয়ে আমিনুরকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে লাশ কপোতাক্ষ নদে ফেলে দেয় বলে পুলিশকে জানায় ফয়সাল।
পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কপোতাক্ষ নদে গিয়ে রক্তের চিহ্ন মিললেও লাশ পায়নি পুলিশ। তিন দিন পর গতকাল বুধবার সকালে কপোতাক্ষ নদ থেকে লাশ পায় পুলিশ।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে ফয়সালকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের বাবা ছুরমান গাজী। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে ফয়সাল।
ওসি মো. জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরো জানান, মঙ্গলবার আদালতে ১৬৪ ধারায় নিজের জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ফয়সাল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়