চকবাজারে প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন

আগের সংবাদ

তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি : বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর ফ্রিল্যান্সার দেশ

পরের সংবাদ

বগুড়ায় কিশোরের করুণ মৃত্যু : বকশিশ কম হওয়ায় খুলে নেয়া হয় অক্সিজেন মাস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চাহিদা অনুযায়ী বকশিশ না পেয়ে এক কিশোরের অক্সিজেন মাস্ক খুলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সার্জারি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে বলে মৃত কিশোরের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। ঘটনা খতিয়ে দেখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
মারা যাওয়া ওই কিশোরের নাম বিকাশ চন্দ্র কর্মকার (১৫)। অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের খণ্ডকালীন কর্মচারী। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, কিশোর বিকাশকে ট্রলিতে করে জরুরি বিভাগ থেকে তৃতীয় তলার শয্যায় পৌঁছে দেয় হাসপাতালের কর্মচারী আসাদুজ্জামান। এরপর সে ২০০ টাকা বকশিশ দাবি করে। তাকে ১৫০ টাকা দেয়া হয়। ৫০ টাকা কম দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কর্মচারী রোগীর মুখ থেকে মাস্ক খুলে ফেলে। এ ঘটনায় ছটফট করে মারা যায় বিকাশ।
বিকাশের পরিবারের ভাষ্য, তাদের বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পুঁটিমারি গ্রামে। নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত সে। অভাবের সংসারে সে লেখাপড়ার পাশাপাশি একটি ওয়ার্কশপে কাজ করত। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় সে আহত হয়। তাকে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রাতে স্বজনরা তাকে এই হাসপাতালে নিয়ে যান।
বিকাশের ছোট চাচা শচীন চন্দ্র কর্মকার এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। তিনি দাবি করেন, বিকাশের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। এ কারণে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার জন্য মুখে মাস্ক লাগিয়ে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন। এরপর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কার্যক্রম শেষে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ তাকে

ট্রলিতে করে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় নেয়া হয়। হাসপাতাল কর্মচারী আসাদুজ্জামান ট্রলিতে করে তাকে পৌঁছে দেয়। এরপর তিনি ২০০ টাকা বখশিশ দাবি করলে তাকে ১৫০ টাকা দেয়া হয়। এতে সে ক্ষুব্ধ হয়ে বিকাশের মুখ থেকে মাস্ক টেনে খুলে ফেলে। অক্সিজেনের অভাবে বিকাশ মারা যায়।
হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ জানান, চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর প্রধান করা হয়েছে ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার মনিরুজ্জামানকে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়