রাজবাড়ী প্রতিনিধি : ফেরি স্বল্পতা, ঘাটসংকট এবং বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের অতিরিক্ত গাড়ির চাপে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দেও দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আট কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভয়াবহ ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কেও সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
গতকাল বুধবার বিকালে দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটে জিরোপয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চার কিলোমিটারজুড়ে ফেরির অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৪ শতাধিক যানবাহন।
অন্যদিকে, এই মহাসড়ক সচল রাখার জন্য রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে আরো ৪ কিলোমিটার এলাকায় অপেক্ষায় রয়েছে চার শতাধিক যানবাহন।
এসব যানবাহনকে ফেরির নাগাল পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস ও ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার পার করছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। যানবাহনের চাপে যাত্রীবাহী বাসকে ফেরির নাগাল পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তিন থেকে চার ঘণ্টা। অনেক যাত্রীকে দেখা গেল বাস থেকে নেমে লঞ্চে করে নদী পার হচ্ছেন। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
একাধিক চালক জানান, এমন ভোগান্তির জন্য দায়ী ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে একসময় ২০টি ফেরি চলাচল করতো। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এই ফেরি বৃদ্ধি করেছিলেন। সেখান থেকে ফেরি কেন, কীভাবে হ্রাস করা হলো জানি না। বর্তমানে তিন দিন পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আটকে থাকতে হচ্ছে।
রাজবাড়ীর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তারক চন্দ্র পাল বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এই মুহূর্তে প্রায় ৩শ এবং গোয়ালন্দ মোড়ে ৫শ ট্রাক আটকে রয়েছে।
ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি না করা হলে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপক জামাল হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।