চকবাজারে প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন

আগের সংবাদ

তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি : বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর ফ্রিল্যান্সার দেশ

পরের সংবাদ

ডিএসসিসি মেয়র তাপস : পুরান ঢাকায় নানা অজুহাতে কেমিক্যাল কারখানা চলছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে পুরান ঢাকায় বেআইনিভাবে এখনো কেমিক্যাল কারখানা চালু রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার নগরীর ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদবাগ ভূগর্ভস্থ পয়ঃনালী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।  
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা ও গুদাম সরাতে সিটি করপোরেশন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা ২০১৭ সালের পর থেকে আর কোনো ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছি না। তারপরও দেখা যাচ্ছে, স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে পুরান ঢাকায় বেআইনিভাবে এখনো কেমিক্যাল কারখানা ও গুদাম চালু রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পুরান ঢাকায় ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা উল্লেখ করে শেখ তাপস বলেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা অত্যন্ত অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত। বিষয়টি আমি অন্যান্য কর্তৃপক্ষের নজরে আনছি। এই নিয়ে আমি শিল্পমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সভা করেছি, এগুলো দ্রুত যেন স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হয়।
তাপস বলেন, আমরা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রত্যেক বছরই প্রাণহানি হচ্ছে, দুর্ঘটনা ঘটছে। সুতরাং আমরা অনুরোধ করব এ ব্যাপারে তারা যেন দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়। স্থানান্তরে ব্যাবসায়ীরাও বিভিন্ন অজুহাত দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ট্রেড লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রাখা সত্ত্বেও তারা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছে। আমরা কোথায় স্থানান্তর হব, স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি, আমাদের জায়গার ব্যবস্থা করা হয়নি- এ রকম বিভিন্ন অজুহাত দিচ্ছে। আমরা কিন্তু কঠোর রয়েছি। সুতরাং আমরা অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, তারা যেন সরজমিন এগুলো পরিদর্শন করে এবং যেগুলো বেআইনিভাবে পরিচালিত হচ্ছে সেগুলো অচিরেই বন্ধ করে দেয়।
শেখ তাপস আরো বলেন, আমরা শ্যামপুর খালের দখল হওয়া অংশ দখলমুক্ত করব। এখানকার এই সেতুটা দীর্ঘ ৪০ বছর আগে এলজিইডির করা। এখানে আমরা নতুন করে সেতু নির্মাণ করব, যাতে করে পানির প্রবাহটা একদম নিশ্চিত হয় ও খালটি প্রশস্ত হয়। এছাড়া এই সেতুর নিচ দিয়ে যাতে নৌকা চলাচল করতে পারে, সেই কার্যক্রমও আমরা হাতে নেব।
এর আগে ঢাকা দক্ষিণের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর (এসটিএস) কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মেয়র। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহমদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলররা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়