চকবাজারে প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন

আগের সংবাদ

তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি : বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর ফ্রিল্যান্সার দেশ

পরের সংবাদ

জামালদের রুখে দিল সিশেলস

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মালদ্বীপে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যর্থ মিশন শেষে দেশে ফিরেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। শ্রীলঙ্কায় চার জাতি টুর্নামেন্টে ভালো করে সে হতাশা থেকে বের হয়ে আসার বার্তা দিয়েছিলেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে টুর্নামেন্টেও সে‘ ব্যর্থতার গ্যাঁড়াকল থেকে বের হতে পারেননি জামাল ভূঁইয়ারা। ১৯৯ র‌্যাঙ্কিংধারী দলের বিরুদ্ধে লিড নিয়েও পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি জামালরা। চার জাতির টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ গতকাল সিশেলসের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে।
পূর্ব আফ্রিকার ক্ষুদ্র একটি দেশ সিশেলস। যাদের জনসংখ্যা এক লাখেরও কম। ফুটবল র‌্যাঙ্কিংয়েও পিছিয়ে অনেক। এমন দলের বিপক্ষে ড্র করা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য চরম লজ্জাকর। এর আগে ম্যাচের ১৬ মিনিটে ইব্রাহীমের গোলে বাংলাদেশ লিড নিয়েছিল। সেই লিড ম্যাচের ৮৭ মিনিট পর্যন্ত ধরেও রেখেছিল। ৮৮ মিনিটে সিশেলস কর্নার থেকে জটলার মধ্য থেকে ব্রেন্ডনের গোলে ম্যাচে সমতা আনে। স্কোরলাইন ১-১ দেখালেও সিশেলস ম্যাচটি বাংলাদেশ জিততে পারত অনায়াসেই। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ সৃষ্টি করলেও দ্বিতীয়ার্ধে একচেটিয়া খেলেছে আফ্রিকা মহাদেশের দলটি। তারাও একাধিক গোলের সুযোগ মিস করেছে। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই দুর্দান্ত সেভ করেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। এরপর ক্রমান্বয়ে আরো কয়েকটি আক্রমণ করে সিশেলস। ফরোয়ার্ডরা গোলের সুবর্ণ সুযোগ মিস করেছেন, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সচরাচর হয় না। শেষ পর্যন্ত ৮৮ মিনিটে বাংলাদেশ আর নিজেদের লিড ধরে রাখতে পারেনি।
প্রথমার্ধে লিড পাওয়ার পর আক্রমণে না গিয়ে ম্যাচের বাকি সময় বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে। কর্নার আদায় করলেও গোল আদায় করতে পারেননি বাংলাদেশে আক্রমণভাগের ফুটবলাররা। বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে গিয়েছিল ফাইনাল খেলার লক্ষ্যে। কিন্তু দুর্বল সিশেলসের বিপক্ষে ড্র করে ফাইনাল খেলার আশা ক্ষীণ হয়ে গেল জামাল ভূঁইয়াদের।
টানা বৃষ্টিতে কলম্বোর রেসকোর্স মাঠ অনেকটা ভারী। সিশেলসের অর্ধ আরো বেশি ভারী তুলনামূলক। বাংলাদেশ দল এমন ভারী মাঠে প্রথমার্ধে এক গোলের লিড নিয়েছে। যদিও প্রথমার্ধে তিন গোলে লিড নেয়ার মতো সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। সিশেলসের বক্সে বেশি কাদা থাকায় ফরোয়ার্ডরা অবশ্য স্বাভাবিক শট নিতে পারেননি অনেক সময়। ম্যাচের ১৬ মিনিটে লিড এনে দেন ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ ইব্রাহীম। ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা লম্বা থ্রæ ঠেলে দেন। বাংলাদেশের মিডফিল্ডার ও সিশেলসের ডিফেন্ডারদের ফাঁকে বল পান ইব্রাহীম। বলটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একজন কাটিয়ে বক্সের মধ্যে প্রবেশ করেন বসুন্ধরা কিংসের এই ফরোয়ার্ড।
কোনাকুনি শটে গোল করেন ইব্রাহীম। সিশেলস এ সময় মাঝমাঠে বল দখলের লড়াইয়ে বাংলাদেশকে টক্কর দিলেও গোল করার মতো কিছু করতে পারেননি। একবার দূরপাল্লার শট নিয়েছিল সিশেলসের ফরোয়ার্ড। গোলরক্ষক জিকো সরাসরি গ্রিপে না আনতে পারলেও কোনো বিপদ হয়নি বক্সের মধ্যে কেউ না থাকায়। ইব্রাহীম ৪১ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ মিস করেন। বক্সের মধ্যে ফ্রি থেকেও ভালোমতো শট নিতে পারেননি। সহজ একটি গোলের সুযোগ মিস করেন ইব্রাহীম। তার মতো অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও একই রকম একটি সুযোগ মিস করেন মিনিট দশেক আগে। তাদের এই ব্যর্থতার পেছনে বক্সের কাদাও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পর্তুগালের কোচ মারিও ল্যামোসের এই ম্যাচের মাধ্যমে জাতীয় দলের ডাগাউটে অভিষেক হয়েছে। অভিষেকটা জয়েও রাঙাতে পারতেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দলের এলোমেলো খেলায় ও ফরোয়ার্ডের বেশ কিছু সুযোগ নষ্টের ফলে গোল হজম করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের সময় যত গড়িয়েছে মাঠে তত অসহায় মনে হয়েছে মারিওর শিষ্যদের। শেষ পর্যন্ত একটি পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে বাংলাদেশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়