চকবাজারে প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন

আগের সংবাদ

তথ্যপ্রযুক্তি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি : বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর ফ্রিল্যান্সার দেশ

পরের সংবাদ

চরফ্যাশনে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান : নেই পর্যাপ্ত আসবাব

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এআর সোহেব চৌধুরী, চরফ্যাশন (ভোলা) থেকে : ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান। চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের বরদারহাট ব্রিজ সংলগ্ন ৬৩নং আয়শাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩টি ভবনের বিভিন্ন জয়েন্টে ফাটলসহ পলেস্তারা খসে পড়েছে। ক্লাসে পাঠদান চলাকালীন সময়ও পলেস্তারা খসে পড়ে বলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান। বিদ্যালয়ে নেই পর্যাপ্ত বেঞ্চ ও আসবাবপত্র। এ অবস্থার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়টিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর একাধিকবার পরিদর্শন করলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সেমি পাকা ভবনটির নেই কোনো দরজা জানালা। এছাড়াও বারান্দার পিলারগুলোও ভেঙে গেছে এবং উপরের টিনগুলোও পুরনো হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। সাইক্লোন সেল্টারটির ছাদের ঢালাই ভেঙে বিভিন্ন স্থানে রড বের হয়ে গেছে। যার ফলে ভবনটিতে পাঠদানের অনুপযোগী হওয়ায় শিক্ষকরা সেল্টার ভবনের নিচে টিন দিয়ে বেড়া তৈরি করে সেখানে পাঠদান করেন। এক তলাবিশিষ্ট ভবনটি বেশ পুরনো হওয়ায় ছাদের ঢালাই, পিলার এবং দেয়ালের পলেস্তারা ভেঙে পড়ছে। যে কোনো সময় পুরনো ভবনগুলো ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সলিম উল্লাহ বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে ছাদ, পিলার ও ভিম ফেটে গেছে। শিক্ষকরা ভবনগুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করার জন্য কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েছেন। ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে রয়েছে। এছাড়াও শিক্ষার্থী অনুযায়ী পর্যাপ্ত বেঞ্চ ও আসবাবপত্র না থাকায় পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের বিদ্যালয় থেকে পুরনো বেঞ্চ এনে ক্লাস করা হচ্ছে। শিক্ষকরা বলেন, বিদ্যালয়টি একটি ব্রিজের ঢাল-সংলগ্ন হওয়ায় ট্রাক, ট্রলিসহ যে কোনো যানবাহনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছি। শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিভাবক বলেন, ‘বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ হওয়ায় এবং সড়ক ও ব্রিজের ঢাল-সংলগ্ন হওয়ায় ছোট ছোট শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আমরা বেশ চিন্তিত থাকি কখন যেন আবার দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আমরা বিদ্যালয়টির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর নতুন ভবনের চাহিদা চেয়ে পাঠিয়েছি। আশাকরি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়