জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের ৫ সদস্য রিমান্ডে

আগের সংবাদ

স্মার্টকার্ড নিয়ে আনস্মার্টকাণ্ড!

পরের সংবাদ

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ : বিদ্যমান সংবিধান ঐক্যবদ্ধ জাতিসত্তায় বিভাজন টেনেছে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিদ্যমান সংবিধানকে ‘জগাখিচুড়ি’র সংবিধান হিসেবে অভিহিত করেছেন ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা। তারা বলেছেন, এ সংবিধান ধর্মীয় সংখ্যাগুরু জনগণের ধর্মকে ‘রাষ্ট্রধর্মের’ মর্যাদা দিয়ে কার্যত ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ‘রাষ্ট্রীয় সংখ্যালঘু’তে পরিণত করেছে। অথচ রাজনীতিবিদরা প্রায়ই বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু নেই’, যা হাস্যকর।
সংবিধান দিবস উপলক্ষে গত সোমবার রাতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। বিকালে সংগঠন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, রাষ্ট্র ও রাজনীতির যেখানে দায়িত্ব জাতীয় ঐক্যকে সুসংহত করা সেখানে সংবিধান রাষ্ট্রধর্মের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতিসত্তাকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত করে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানে পরিচিত করিয়েছে। আমরা আজ আর কেউ বাঙালি হিসেবে থাকতে পারছি না, যা দুর্ভাগ্যজনক। আলোচকরা বলেন, বিদ্যমান সংবিধান জাতীয় পর্যায়ে সাম্প্রদায়িকতার উৎস হিসেবে কাজ করছে। তারা জাতীয় বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষায় ’৭২-র সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঐক্য পরিষদের সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক। স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। প্রধান অতিথি ছিলেন ড. গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল। আরো বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল ও সাবেক সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন প্রাণতোষ আচার্য শিবু।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়