জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের ৫ সদস্য রিমান্ডে

আগের সংবাদ

স্মার্টকার্ড নিয়ে আনস্মার্টকাণ্ড!

পরের সংবাদ

সাম্প্রদায়িকতা রোধে ‘গণসংগীত’

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধকরণে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে ‘সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে গণসংগীত’ সমাবেশ। এছাড়া ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণও দাবি জানানো এ সমাবেশে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত ‘সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে গণসংগীত’ শিরোনামে গণসংগীতের আসরে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয় শিল্পীরা।
গণসংগীত সমন্বয় পরিষদভুক্ত দলসমূহের মধ্যে অনুষ্ঠানে গণসংগীত পরিবেশন করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, বহ্নিশিখা, সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী, স্ব-ভূমি লেখক শিল্পীকেন্দ্র, ভিন্নধারা, সমস্বরসহ বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা। তোমার পথ ঢেকেছে মন্দির মসজিদে, একই চাঁদ উঠে রাশ পূর্ণিমায়, মানুষ মানুষের জন্য, আমরা বিশ্বের বুকে গড়বো, মানুষের মাঝে বসবাস করি, আমার প্রতিবাদের ভাষা, বাংলার হিন্দু বাংলার মুসলমান, গ্রামের নওজোয়ান, একাত্তরের শকুনগুলো উড়ছে আবার দেশজুড়ে, কি যে আজগুবি কারবার ওদের চিনতে হয় বার বার, মানবোনা এ বন্ধনে, নতুন সূর্য আনো, প্রাণে প্রাণে মিল করে দাও, আজ যত যুদ্ধবাজ, নওজোয়ান নওজোয়ান, মানুষ ধর মানুষ ভজ, আমরা মিলেছি আজকে ইত্যাদি দলীয় গানের মধ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিকে প্রতিবাদে উত্তাল করে তোলেন শিল্পীরা। দলীয় পরিবেশনার পাশাপাশি আসরে একক কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন আরিফ রহমান, সমর বড়–য়া, নবনীতা জাইদ চৌধুরী, মোহনা দাস ও এস.এম মেজবা উদ্দিন।
প্রতিবাদী গণসংগীতের আগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তৃতা করেন গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, কাজল দেবনাথ প্রমুখ।
জন্মশতবর্ষে নীলিমা ইব্রাহিম নাট্যোৎসব ২০২১ : চলতি বছরের ১১ অক্টোবর ছিল বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সাবেক সভানেত্রী, সমাজসেবী শিক্ষাবিদ ড. নীলিমা ইব্রাহিমের জন্মশতবর্ষ। এর মধ্য দিয়ে সাবেক সভানেত্রীর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি। ‘শতবর্ষে নীলিমা ইব্রাহিম নাট্যোৎসব ২০২১’ শিরোনামের এই উৎসবের প্রথম দিন আজ ১০ নভেম্বর বুধবার থেকে পরপর পাঁচ দিন মঞ্চায়ন হবে পাঁচটি নাট্যদলের পাঁচটি নাটক। প্রথম দিন সন্ধ্যায় নাটকসরণী খ্যাত বেইলি রোডের ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হবে ঢাকা থিয়েটারের ‘নিমজ্জন’। পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একই মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হবে নাট্যচক্রের ‘একা এক নারী’, তৃতীয় দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় মঞ্চায়ন হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘কহে ফেসবুক’, চতুর্থ দিন শনিবার সন্ধ্যায়

মঞ্চায়ন হবে থিয়েটারের ‘মেরাজ ফকিরের মা’ ও শেষদিন ১৪ নভেম্বর রবিবার মঞ্চায়ন হবে লোক নাট্যদলের (সিদ্ধেশ্বরী) নাটক ‘কঞ্জুস’।
উৎসব শুরুর আগের দিন গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শুরুতেই নীলিমা ইব্রাহিমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহিলা সমিতির সহসভানেত্রী ড. মারুফী খান। মহিলা সমিতির সভানেত্রী সিতারা আহসানউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক তানিয়া বাখত। এতে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, রামেন্দু মজুমদার প্রমুখ। পরিবারের পক্ষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইতি ইব্রাহিম খান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়