জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের ৫ সদস্য রিমান্ডে

আগের সংবাদ

স্মার্টকার্ড নিয়ে আনস্মার্টকাণ্ড!

পরের সংবাদ

রেস্টুরেন্ট মালিকদের খাদ্যমন্ত্রী : প্রতিজ্ঞা করলেই আইনের প্রয়োজন হবে না

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির একজন প্রতিনিধির কথায় শুনলাম তারা ক্ষিপ্ত। তিনি বলেছেন আইনের প্রকৃত ভাষা না বুঝে তা প্রয়োগ করা ঠিক নয়। আমি তার সঙ্গে একমত পোষণ করছি। তিনি আরো বলেছেন ৬০ হাজার রেস্টুরেন্ট মালিক ঐক্যবদ্ধ আজ। সেজন্য আমি আপনাদের সাধুবাদ জানাই। তবে সম্মান রেখে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আপনাদের ওপর আইন প্রয়োগ করার কোনো প্রয়োজন নাই, যদি আপনারা এভাবেই ঐক্যবদ্ধ থাকেন। আর এখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিজ্ঞা করুন, আমরা ভেজাল দেব না। সঠিকভাবে মানুষকে নির্ভেজাল ও উপযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করব। আপনাদের কাছে আইন যাবে না, প্রয়োজন হবে না। সেই প্রতিজ্ঞা কি আদৌ করতে পারবেন। ঐক্যবদ্ধতো হয়েছেন।
‘নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ ও বিধি-প্রবিধি সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল বলরুমে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা সম্পাদক শাইখ সিরাজ ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব আবদুল কাইউম সরকার।
মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের ৮টি বিভাগে ল্যাবরেটরি নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ৬ মাসের মধ্যে তা চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি। পাশাপাশি প্রত্যেক বিভাগে মোবাইল ল্যাবরেটরি করা হচ্ছে। ফলে ডাকলেই জেলা-উপজেলায় পৌঁছে যাবে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে নারায়ণগঞ্জে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ল্যাবরেটরি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জাইকার সঙ্গে আমাদের চুক্তিও হয়েছে।
যেহেতু ল্যাবরেটরি নাই তাহলে কিভাবে সাজা দিচ্ছেন প্রশ্ন উঠতে পারে? তাই বলবো, চোখের দেখাতেও অনেক কিছু বোঝা ও দেখা যাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই কাজ চলছে। ল্যাবরেটরি হলে যে আরো কি হতে পারে তা ভেবে আমরা যে যেখানেই আছি তার জায়গা থেকে মেধাবী প্রজন্ম ও সন্তান গড়তে চাইলে ভেজালমুক্ত ও নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের বিষয়ে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। গণমাধ্যম এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সমন্বয়হীনতার কথা উল্লেখ করে শাইখ সিরাজ বলেন, শুধু খাদ্য নয়, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ আরো যারা জড়িত রয়েছে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। গণমাধ্যমকে সম্পৃক্ত করে আরো কাজে লাগাতে হলে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। উৎসাহের জন্য অ্যাওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস করতে হবে। এর অভাবেই আমরা বাইরে খাবার রপ্তানি করে কোটি কোটি ডলারের বিনিয়োগ হারাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়