জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের ৫ সদস্য রিমান্ডে

আগের সংবাদ

স্মার্টকার্ড নিয়ে আনস্মার্টকাণ্ড!

পরের সংবাদ

মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ : মিয়ানমার বাহিনীর হাতে ট্রলারসহ ২০ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার শেষে ফেরার পথে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনের অদূর থেকে ২০ জন মাঝিমাল্লাসহ তিনটি বাংলাদেশি ট্রলার নিয়ে গেছে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা। সোমবার বেলা ১১টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে মিয়ানমারের সিটওয়ে (আকিয়াব) শহরের মংডু এলাকার আংডাং-কুলুং উপকূল থেকে এসব নিয়ে যায়। এর আগে শুক্রবার সকালে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী ঘাট দিয়ে ফিশিং ট্রলারগুলো বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের জন্য রওনা হয়।
তথ্যটি নিশ্চিত করেন সেখানে আটক নৌকার মালিক ও মাঝি টেকনাফ পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড নাইট্যংপাড়ার বাসিন্দা ফজল করিম ওরফে নাতির ছেলে নুরুল ইসলাম।
তিনি জানান, অন্যদিনের মতো গত শুক্রবার বেশ কয়েকটি ফিশিং ট্রলারের সঙ্গে আমার বাবা নিজ ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারে বের হন। কিন্তু সোমবার দুপুরে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার সীমান্তে আংডাং-কুলুং এলাকা থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা চারটি বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলার ধরে আটক করে রেখেছে। ট্রলার মালিকরা হচ্ছেন- টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়ার ফজল করিম, ৭নং ওয়ার্ড চৌধুরীপাড়ার সালমান ও ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার মো. সৈয়দ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফজল করিম নিজে মাঝি হিসেবে ৮ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে গেলেও সালমানের মালিকানাধীন নৌকার মাঝি মোবারক, মো. সৈয়দের মালিকানাধীন নৌকার মাঝি সৈয়দ আলমসহ তিনটি ট্রলারের ১৮-২০ জন মাঝিমাল্লা সোমবার সকাল থেকে আটক রয়েছে মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশের হাতে।
জানা গেছে, প্রতি ট্রলারে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তা নিয়ে দেন-দরবারের কারণ ফিশিং ট্রলার সংশ্লিষ্টরা কেউ মুখ খুলছেন না। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়নি।
এ বিষয়ে কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশনে কেউ অবগত করেনি বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়। তবে স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার নাইমের মোবাইল সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বিজিবি টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন উপপরিচালক লে. এম মোহতাসিম বিল্লাহ শাকিল জানান, তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এর আগেও চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে টেকনাফ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড চৌধুরীপাড়ার নুরুল বশর মিজ্জির ছেলে মো. রফিকের ফিশিং ট্রলারসহ আরো তিনটি ট্রলার আটক রেখে জোরপূর্বক মাছ কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছিল একই পয়েন্ট থেকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়