জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের ৫ সদস্য রিমান্ডে

আগের সংবাদ

স্মার্টকার্ড নিয়ে আনস্মার্টকাণ্ড!

পরের সংবাদ

‘মলনুপিরাভির’ জরুরি ব্যবহারে সায় : করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ বাজারে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দেশের টিকার পর এবার করোনার চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ট্যাবলেটের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। যুক্তরাজ্যে অনুমোদন পাওয়ার ৪ দিন পর গত সোমবার দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে ‘মলনুপিরাভির’ নামের এই ট্যাবলেট উৎপাদন ও বাজারজাত করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে দেশের বাজারে বেক্সিমকো ফার্মার প্রস্তুতকৃত ওষুধের ব্র্যান্ড নাম হবে ‘ইমোরিভির’। এরই মধ্যে ওষুধটি দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বেক্সিমকোর বাজারজাত করা প্রতিটি ওষুধের দাম ধরা হয়েছে ৭০ টাকা। চিকিৎসকের পরামর্শে ১৮ বছরের বেশি বয়সি করোনা আক্রান্ত রোগীকে সংক্রমণ প্রতিরোধে ৪০টি পিল খেতে হবে। যার বাজার মূল্য হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই প্রথম মুখে খাওয়ার কোনো এন্টিভাইরাল আমাদের দেশে আসল। মলনুপিরাভির এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যে অনুমোদন পেয়েছে। সোমবার আমরা বেক্সিমকোকে এবং মঙ্গলবার এফকেএফ ও স্কয়ারকে উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণের অনুমতি দিয়েছি। আমরা মনে করি, এই ওষুধ করোনা ভাইরাস মহামারি দূর করতে ভূমিকা পালন করবে। ‘উন্নয়নশীল দেশ’ হিসেবে কিছু ওষুধের ক্ষেত্রে ‘মেধাস্বত্ব ছাড়ের’ সুযোগ থাকায় বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো দ্রুত এই ওষুধ আনতে পারছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, প্রতিটি ক্যাপসুল হবে ২০০ মিলিগ্রাম। দাম পড়বে ৫০ টাকা করে। এই ওষুধের কোর্স চলবে ৫ দিন। প্রতিদিন দুই বেলা ৪টি করে ৮টি অর্থাৎ মোট ৪০টি ক্যাপসুল খেতে হবে। তবে এই ওষুধ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বলেন, মহামারিকালে রেমিডেসিভির পর মলনুপিরাভির দেশের বাজারে আনছে বেক্সিমকো। করোনার চিকিৎসা মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে বেক্সিমকো যে দ্রুত সাড়া দেয়, এটি তার উদাহরণ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে বেক্সিমকো, স্কয়ার, এসকেএফ ছাড়াও ইনসেপ্টা, জেনারেল ফার্মা, বিকন ফার্মা, রেনাটাসহ ১০টি প্রতিষ্ঠান ‘মলনুপিরাভির’ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের আবেদন করেছিল। বাকিগুলোর অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোম্পানি মার্ক শার্প এন্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিক যৌথভাবে তৈরি করেছে লাগেভ্রিও (মলনুপিরাভির) নামে মুখে খাওয়ার এই ওষুধ। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের ঔষধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস এন্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সির (এমএইচআরএ) অনুমোদন পেয়েছে মলনুপিরাভির। এটি মূলত মুখে খাওয়ার ক্যাপসুল বা বড়ি। সাধারণত ফ্লুর চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা হতো। যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশে করোনা চিকিৎসায় এই ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, এই ক্যাপসুল রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুঝুঁকি অর্ধেক কমিয়ে দেয়। এই ওষুধের অনুমোদন দেয়ার পর যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, যেসব ব্যক্তি দুর্বল এবং যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাদের চিকিৎসায় এই ওষুধ প্রয়োগ হবে যুগান্তকারী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়