জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের ৫ সদস্য রিমান্ডে

আগের সংবাদ

স্মার্টকার্ড নিয়ে আনস্মার্টকাণ্ড!

পরের সংবাদ

কালাইয়ে আলুবীজ সংকটের আশঙ্কায় চিন্তিত চাষিরা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : কালাই উপজেলা আলু উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত বলে পরিচিত, এখানে প্রতিবছরই ব্যাপক হারে আলু উৎপাদন হয়। ইতোমধ্যেই আগাম জাতের আমন ধান কাটার পরপরই আলু লাগানো শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে। তাছাড়া অত্র উপজেলায় আলু উৎপাদনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার টন। অত্র উপজেলাতে ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, এসটারিক্স, গ্র্যানোলা, কারেজ, লেডিরোসেটা, লরা, রেজাগোল্ড, এটলাস, মিউজিকা, রোমানা, তাছাড়াও দেশি জাতের পাকরী, তেল পাকরী, পাহারী পাকরী, ফাটা পকরী ও বট পাকরী জাতের আলু চাষ করা হয়ে থাকে।
পুনট ইউপির চাকলমুয়া গ্রামের আলুচাষি সুলতান হোসেন বলেন, প্রায় ৩ মাস পূর্বেই পুনট বাজারের ইসলাম ট্রেডার্সে ব্র্যাকের ৫০ বস্তা আলুবীজের ডিও কেটেছিলাম, অনেক ঘোরাঘুরির পর আজ আমি আলুবীজ পেয়েছি। তবে এখনো অনেকেই তাদের চাহিদামতো আলুবীজ পায়নি। ইসলাম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শাহিনুর ইসলাম বলেন, যে কোম্পানির সঙ্গে আমরা চুক্তি করেছি, তারা আমাদের আলু দিতে দেরি করায় কৃষকদের আলু পেতে একটু দেরি হয়েছে। পুনট বাজারের বিএডিসি ডিলার এরশাদুল ইসলাম তপন একই ধরনের কথা বলেন- কৃষকদের চাহিদামতো আলু অনেকেই পাচ্ছে না।
উপজেলার পাঁচশিরা বাজারের মেসার্স বিসমিল্লাহ্ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শাহাজান আলী, ফাহিম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোত্তালেব হোসেন ফাহিম, দুইবোন ট্রেডার্সের সাইদুর রহমান ও মেসার্স সিয়াম ট্রেডার্সের ওমর ফারুকসহ অনেকেই জানান, এসিআই ও স্কয়ার কোম্পানির আলুবীজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু আমানসিড রয়েছে। এ গ্রেড ৪০ টাকা কেজি ও বি গ্রেড ৩৯ কেজি দরে, বিএডিসি ২৮-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমান বাজারে ব্র্যাকের অ্যারিস্টিক আলুবীজের অনেক চাহিদা রয়েছে, সরবরাহ না থাকায় দিতে পারছি না। অন্যান্য জাতের তারপরও প্রতিদিন গড়ে ২৭০ থেকে ৩০০ বস্তা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পৌরসভার আঁওড়া মহল্লার তোফাজ্জল হোসেন ও আনারুল ইসলাম, হারুঞ্জাগ্রামের তোজাম্মেল হোসেন, পার্শ্ববর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার সাদুরিয়া গ্রামের বজলুর রহমান ও মুনিরুল ইসলাম, উদয়পুর গ্রামের আব্দুল জলিল বলেন, বিএডিসির বীজের চেয়ে বিভিন্ন কোম্পানির বীজ অনেক ভালো। কৃষকরা তাদের চাহিদা মতো কোম্পানির বীজআলু পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে অন্য কোম্পানি বা বিএডিসির বীজ নিতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার নীলিমা জাহান জানান, আলু চাষের মৌসুম শুরুর প্রথমেই সরকারের বিভিন্ন আগাম প্রস্তুতি নেয়ার ফলে এবার উপজেলাতে রাসায়নিক সার বা আলুবীজের কোনো প্রকার সংকট নেই। তাছাড়াও আমরা আলু চাষ সফল করতে কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন প্রশিক্ষণসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রেখেছে। সেই সঙ্গে বিএডিসি কর্তৃক উন্নত জাতের আলুবীজ সরবরাহ করা হয়েছিল।

আলুবীজ শোধনের জন্য কাটার পর তাতে ভালোমানের ছত্রাকনাশক (কার্বেনডজিম) নইন, ভিটাভেক্স বা আরবা স্প্রে করার কমপক্ষে ৫ ঘণ্টা পর কাটা আলুর উপর একটা স্তর পড়বে, এটা বীজবাহী বা মাটিবাহী রোগ থেকে আলুকে রক্ষা করবে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অত্র উপজেলায় আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়