জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রের ৫ সদস্য রিমান্ডে

আগের সংবাদ

স্মার্টকার্ড নিয়ে আনস্মার্টকাণ্ড!

পরের সংবাদ

অবৈধ পথে বিদেশ নয় : আমিরাতের শ্রমবাজার খুলতে উদ্যোগী হোন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী ভিসা বন্ধ থাকলেও অবৈধভাবে শ্রমিক পাচার হচ্ছে। ভয়ংকর রূপে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচারকারী চক্র। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অভিযানে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর মানব পাচারকারী চক্র নতুন করে সক্রিয় হওয়ার মধ্যেই মানব পাচারের বিপজ্জনক ঘটনার তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জানা গেছে, ভিজিট ভিসায় আরব আমিরাতে পাড়ি জমিয়েছে হাজার হাজার শ্রমিক। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পাড়ি জমিয়েছে প্রায় অর্ধ লাখ শ্রমিক! এলিট ফোর্স র‌্যাবের অভিযানে এই চক্রের হোতাসহ আটজন গ্রেপ্তরের পর মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ৭ বছরে প্রায় ৫০০ জনকে এই কায়দায় দুবাই পাচারের হোতার জবানবন্দিতে মিলেছে চক্রের খোঁজ। ‘বডি কন্ট্রাকে’ বিমানবন্দর পাড়ি দিয়ে এদের অনেকে পড়েছেন অনিশ্চয়তায়। গতকাল ভোরের কাগজে প্রকাশিত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, বৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার প্রায় সব পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকেই নানা উপায়ে অবৈধ উপায়ে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এতে তারা প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে। অবৈধভাবে বিদেশযাত্রা রোধে ও দালাল প্রতারকদের দৌরাত্ম্য কমানোর ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় জনশক্তি রপ্তানির উদ্যোগ বেশ আশার আলো দেখিয়েছিল। কিন্তু তা কাক্সিক্ষত মাত্রায় কার্যকর না থাকায় এসব অবৈধ তৎপরতা থামেনি। অবৈধ পথে বিদেশ যাত্রা রোধ ও বিদেশে নিরাপদ কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার জন্য বৈধ পথে কম খরচে প্রবাসে কর্মসংস্থানের সরকারি উদ্যোগে গতি আনা, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মী প্রেরণ নিশ্চিত করা জরুরি। ভ্রাতৃপ্রতিম সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরাত সফরকালে দেশটির আমিরের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ থেকে বেশি বেশি কর্মী নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আমিরাতের বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশি নারী-পুরুষ কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২০ সালে আমিরাত থেকে প্রবাসীরা ২৫০৭ দশমিক ৬৪ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। নানা কারণে ২০১২ সালের আগস্ট মাস থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। তবে এতদিন হাতেগোনা কিছু কর্মী যেত দেশটিতে। করোনা মহামারির কারণে তা একেভারে বন্ধ হয় যায়। আমিরাতের শ্রমবাজার নতুন করে উন্মুক্ত করার ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। দেশে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য দরকার সুষ্ঠু পরিকল্পনা, উন্নত দেশগুলোর সার্বিক সহযোগিতা। প্রবাস জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাস কর্মকর্তাদের সক্রিয় করে তুলতে পারলে আগামীতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদা আরো বাড়বে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়