কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহী সিটি করপোরেশন মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, সরকার নতুন যাত্রীবাহী কোচ ও লোকোমোটিভ কোচ সংগ্রহ করছে। যমুনা সেতুতে যাতায়াতের জন্য পৃথক রেললাইন স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া রাজশাহী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যাতায়াতে রেললাইন স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে এসব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। গতকাল সোমবার রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্টের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাসিক মেয়র আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রেলওয়েকে যুগপযোগী ও আধুনিক করে গড়ে তুলছেন। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দুটি অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট যোগ হলো। রেলওয়ের প্রথম স্বয়ংক্রিয় ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিম) মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ। স্বাগত বক্তব্য দেন চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কুদরত ই খুদা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- চিফ অপারেটিভ সুপারিনটেনডেন্ট শহীদুল ইসলাম, বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (পাকশি) মমতাজুল ইসলাম, বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক (পাকশী) মো. শাহীদুল ইসলাম, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি ওয়ালী খান, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার আলী, রাজশাহী রেলওয়ে শ্রমিক লীগ ওপেন লাইন শাখার সভাপতি জহরুল ইসলাম, আরবিআর শাখার সভাপতি মোতাহার হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় কর্মকর্তারা, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন রেলওয়েতে প্রথম স্থাপিত দুটি অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্টের উদ্বোধন করা হয়। এর মধ্যে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে একটি অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। আর রাজশাহীতে ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে একটি অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাসিক মেয়র।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রেলওয়ের জন্য মিটারগেজ ও ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ

প্রকল্পের আওতায় নতুন স্থাপিত অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্টের মাধ্যমে অল্প সময়ে ট্রেনের উভয় পার্শ্ব, ছাদ এবং আন্ডার গিয়ার সুচারুভাবে পরিষ্কার করা যাবে। এ প্ল্যান্ট প্রতিদিন কমপক্ষে ১ লাখ লিটার পানি সাশ্রয় করবে এবং ব্যবহৃত পানির ৭০ ভাগ রিসাইকেল করে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করবে। ইউএসএ থেকে সংগৃহীত এই প্ল্যান্ট অটোমেটিক ও ম্যানুয়াল উভয় মুডে অপারেট করা যায়। গড়ে ১০ মিনিটে ১৪ কোচের একটি ট্রেন পরিষ্কার করা যাবে। অত্যাধুনিক এই প্ল্যান্ট পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী।