ক্র্যাবের ২ সদস্যকে হুমকি দেয়া পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

আগের সংবাদ

গাপটিল-বাটলার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই

পরের সংবাদ

ভাড়া বৃদ্ধি কার স্বার্থে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দেশে দূরপাল্লার বাস-মিনিবাসের ভাড়া গড়ে ২৭ শতাংশ বেড়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলরত বাসে ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ ভাড়া বেড়েছে। গতকাল থেকে এ ভাড়া কার্যকরও শুরু হয়েছে। মহামারি করোনার পরপর নতুন ভাড়া সাধারণ মানুষের ওপর চরম দুর্ভোগ নেমে আসবে। ভাড়া বৃদ্ধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও বৃদ্ধি পাবে। ডিজেলের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গ সামনে আসছে। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে ডিজেলের দাম কমেছে বহুগুণ, কিন্তু দেশের বাজারে তার কোনো প্রভাব নেই। দেশের বাজারে তেলের দাম কমিয়ে সমন্বয় করা যেত। সরকারের এখানে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন ছিল। দেখা যাবে ভাড়া বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। সিএনজিচালিত পরিবহনগুলোতে বাড়তি ভাড়া আদায়ে চেষ্টা করবে। এতে করে যাত্রীদের সঙ্গে চালক-শ্রমিকদের দ্ব›দ্ব বাড়বে। জানা গেছে, আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার রুটে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ১ টাকা ৪২ পয়সার পরিবর্তে নির্ধারণ করা হয় ১ টাকা ৮০ পয়সা। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রতি কিলোমিটারে বাসের ভাড়া ১ টাকা ৭০ পয়সার স্থলে ২ টাকা ১৫ পয়সা এবং মিনিবাসের ক্ষেত্রে ১ টাকা ৬০ পয়সার স্থলে ২ টাকা ৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। আর বাস ও মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া যথাক্রমে ৭ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা ও ৫ টাকার পরিবর্তে ৮ টাকা করা হয়। আর ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটির (ডিটিসিএ) আওতাধীন জেলা নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও ঢাকা জেলায় বাস ও মিনিবাস উভয় ক্ষেত্রে ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৬০ পয়সার স্থলে ২ টাকা ৫ পয়সা করা হয়। সব লঞ্চের ভাড়া ৩৫.২৯ শতাংশ বাড়ানো হবে। সেই হিসাবে কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া বাড়বে ৬০ পয়সা। এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে পরিবহনে বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা এবং মিনিবাসের জন্য ১ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। আর ২০১৬ সালে দূরপাল্লায় ডিজেলচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ১ টাকা ৪২ পয়সা। এভাবে জ্বালানির দাম বাড়ানোর প্রত্যক্ষ অভিঘাত সরাসরি জনসাধারণের ওপর পড়ে। পরিবহন খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভাড়া বাড়ানো মোটেই যৌক্তিক হয়নি। মালিকদের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে। যাত্রীদের প্রতিনিধি রাখা হয়নি। মালিকদের প্রেসক্রিপশনে সরকার ভাড়া নির্ধারণ করছে। এটা দুঃখজনক। এছাড়া সুযোগটা গ্যাসচালিত পরিবহনগুলো নিতে চাইবে। আমরা জানি, ঢাকায় চলা ৯৫ শতাংশ বাস গ্যাসে চলে। যেসব বাস ডিজেলে চলে সেগুলো সরকারকে চিহ্নিত করতে হবে। না হলে ভাড়ার বৃদ্ধি বা ডিজেলের দামের মারপ্যাঁচে ভুগবে সাধারণ মানুষ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়