ক্র্যাবের ২ সদস্যকে হুমকি দেয়া পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

আগের সংবাদ

গাপটিল-বাটলার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই

পরের সংবাদ

বোধহীন সমাজের কথা বলল ‘বোধ’

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঘুণেধরা এ সমাজ দিনে দিনে অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। মানুষের মুখোশে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাস করা অমানুষদের গল্প নিয়ে নাটকের দল সংলাপ থিয়েটার মঞ্চায়ন করেছে নাটক ‘বোধ’। গতকাল সোমবার কার্তিকের সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে বোধহীন সমাজের কথা বয়ানের মধ্য দিয়ে মঞ্চস্থ হয় বোধ নাটকটি। মুন্সী প্রেমচাঁদের গল্প অবলম্বনে স্বপন দাসের নাট্যরূপে নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন মোস্তফা হীরা।
নাটকের কাহিনীতে বোধহীন এ সমাজে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে পর্যুদস্ত ঘিসু ও তার ছেলে মেধো। ক্ষুধা আর দারিদ্র্য তাদের করে তুলেছে অমানবিক, স্বার্থপর পশুসম। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সম্পর্কের বন্ধন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখে না তাদের জীবনে। যার কারণে সামান্য কয়েকটি সেদ্ধ আলু নিয়ে পিতা-পুত্রের লড়াই বেধে যায়। নিজের সন্তানসম্ভবা পুত্রবধূর অতিসামান্য খাদ্য কেড়ে নিতে ঘিসু উদ্বুদ্ধ করে পুত্র মেধোকে।
মেধোও বোধহীন এক জন্তুর মতো কেড়ে নেয় বধূর সেই সামান্য খাবার। ক্ষুধা তাদের এমনভাবে তাড়িত করে যে, নিজের পুত্রবধূকে মৃত ঘোষণা দিয়ে কিছু পয়সা পাওয়ার লোভ সামলাতে পারে না ঘিসু। পুত্র মেধোও তা সমর্থন করে।
যে কোনোভাবে বেঁচে থাকাই যেন তাদের একমাত্র লক্ষ্য। অথচ কেন তারা আজ দরিদ্র, কেন পাচ্ছে না দু’মুঠো খাবার? এর জন্য এ সমাজ কতটা দায়ী? কেন তারা বৈষম্যের শিকার? এ নিয়ে ভাবে না তারা। কোনো দ্রোহ নেই। নিয়তির ওপর সব ছেড়ে দিয়েছে। তারা এ সমাজ ও সমাজপতিদের ঘেন্না করে। মেধো তার অনাগত সন্তানকে বোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মো. হাবীবুর রহমান, মাইনুল ইসলাম, নাঈমা তালুকদার বন্যা, ওয়ালিদ আহমাদ চৌধুরী, মাসুদ আলম বাবু প্রমুখ। 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়