ক্র্যাবের ২ সদস্যকে হুমকি দেয়া পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

আগের সংবাদ

গাপটিল-বাটলার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই

পরের সংবাদ

বিশ্বকাপে সাতে সাত টাইগাররা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

২০০৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সাতটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে টাইগাররা। প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবার ওমানে ও আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ ভালো করেছে অনেক। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার পর ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে খেলে টাইগাররা। যা বেশ বড় অর্জনই। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্যটা একদম তলানিতে।
বাংলাদেশ ২০০৭ থেকে শুরু করে ২০২১ সাল পর্যন্ত হওয়া ৭টি বিশ্বকাপের সবগুলোতে খেলেছে। আর এ সাতটি বিশ্বকাপে টাইগাররা খেলেছে মোট ৩৩টি ম্যাচ। যদিও খেলার কথা ছিল ৩৪টি ম্যাচ। কিন্তু ২০১৬ সালে বৃষ্টির কারণে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
বাংলাদেশ যে ৩৩টি ম্যাচ খেলেছে তার মধ্যে জয় পেয়েছে মাত্র ৭টি ম্যাচে। আর হেরেছে ২৬টি ম্যাচে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সুখকর না। তবে অবিশ্বাস্যভাবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যাত্রাটা হয়েছিল জয় দিয়ে।
প্রথম জয় : নিজেদের ইতিহাসে খেলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটিতেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে ক্যারিবীয়দের মুখোমুখি হয় টাইগাররা। সেই ম্যাচটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৬৪ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। ম্যাচটি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ জিতে নেয় ছয় উইকেটের বড় ব্যবধানে। সেই ম্যাচটিতে বাংলাদেশের হয়ে আফতাব আহমেদ ৬২ ও মোহাম্মদ আশরাফুল ৬১ রান করে টাইগারদের দুর্দান্ত জয় এনে দেন। এরপর বিশ্বকাপে আরো চারটি ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হারের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় জয় : বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের পর দ্বিতীয় জয়ের জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০১৪ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। সেবার বাংলাদেশের মাটিতে বিশ্বকাপ হয়। কিন্তু তবুও বাংলাদেশ সরাসরি মূল পর্বে খেলতে পারেনি। মূল পর্বে খেলার আগে তাদের খেলতে হয় বাছাই। আর বাছাই পর্বে মোট তিনটি ম্যাচ খেলে টাইগাররা। বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারায় তামিম-মুশফিকরা। এটি ছিল বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয় জয়।
তৃতীয় জয় : বিশ্বকাপে বাংলাদেশের তৃতীয় জয়টিও আসে ২০১৪ সালের বাছাই পর্বে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জয় পায় তারা। যা ছিল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের তৃতীয় জয়। কিন্তু সেবার বাছাইয়ের তৃতীয় ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে আবার হেরে যায় টাইগাররা। তবুও মূল পর্বে জায়গা পায় বাংলাদেশ। তবে মূল পর্বে চারটি ম্যাচ খেলে একটি ম্যাচেও জয়ের স্বাদ পায়নি টাইগাররা।
২০১৪ বিশ্বকাপের আগে ২০০৯ সালে দুটি, ২০১০ সালে দুটি ও ২০১২ সালের বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ খেলে টাইগাররা। কিন্তু এই তিনটি বিশ্বকাপের একটিতেও কোনো ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ।
চতুর্থ জয় : বাংলাদেশ ২০ ওভারের বিশ্বকাপে তাদের চতুর্থ জয়টি পায় ২০১৬ সালের বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে। সেবার বাছাইপর্বে প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয় টাইগাররা। ম্যাচটি বাংলাদেশ জেতে আট রানে।
পঞ্চম জয় : বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পঞ্চম জয়টি আসে ২০১৬ বিশ্বকাপেই এমনকি বাছাই পর্বেই। বাংলাদেশ তাদের পঞ্চম জয়টি পায় ওমানের বিপক্ষে।
২০১৬ বিশ্বকাপেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। তবুও বাংলাদেশ জায়গা করে নেয় মূল পর্বে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মূল পর্বের কোনো ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারেনি টাইগাররা।
২০০৭ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে একটি জয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের ২০১৬ বিশ্বকাপে। আর সেটিও বিশ্বকাপের আয়োজক ভারতের বিপক্ষে। ম্যাচটিতে ভারত বাংলাদেশকে ১৪৭ রান টার্গেট দেয়। জয়ের খুব কাছে গিয়েও বাংলাদেশ ১৪৫ রান তুলতে সমর্থ হয়। এর ফলে মাত্র এক রানের কষ্টকর হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। আইসিসির যে কোনো ইভেন্টে এটি ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে কষ্টকর পরাজয়। ২০১৬ সালের পর ৫ বছর পর বিশ্বকাপ হচ্ছে। এবার ভালো কিছু করার প্রত্যাশা বাংলাদেশের। আর এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এমন সময় গেল যখন তারা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে। ফলে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ গেছে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাস নিয়ে। তরুণ ও অভিজ্ঞদের নিয়ে দারুণ এক দল গঠন করেছে টাইগাররা। এখন দেখার বিষয় বিশ্বকাপে গিয়ে বাংলাদেশ কত দূর পর্যন্ত যেতে পারে।
ষষ্ঠ জয় : এবারের টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ষষ্ঠ জয় পেয়েছে। প্রথম পর্বের বাধা পেরিয়ে সুপার টুয়েলভে জায়গা পেতে ওমারকে হারানোর বিকল্প ছিল না। এ ম্যাচে টাইগাররা ২৬ রানে জয় পাবে। বাংলাদেশের ১৫৩ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১২৭ রানে থামে ওমানের ইনিংস। ২৯ বলে ৪২ রান এবং ২৮ রানে ৩ উইকেট লাভ করায় ম্যাচসেরা হন সাকিব আল হাসান।
সপ্তম জয় : সপ্তম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নিতে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিততে হবে টাইগারদের। এমন সমীকরণের ম্যাচে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান সংগ্রহ করে। ১৮২ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় পাপুয়া নিউগিনির ইনিংস। এ ম্যাচে সাকিব আল হাসান ৩৭ বলে ৪৬ রান এবং বল হাতে ৯ রানের বিনিময় ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচসেরা হন।
:: তাইসির আদীব নূর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়