ক্র্যাবের ২ সদস্যকে হুমকি দেয়া পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

আগের সংবাদ

গাপটিল-বাটলার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই

পরের সংবাদ

বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে চলছে ই-গেট স্থাপনের কাজ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান : ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার অংশ হিসেবে ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। প্রায় ১৬ লাখ মানুষ এখন এ পাসপোর্টের ব্যবহার করছেন। যদিও ই-গেট না থাকায় বিমান যাত্রীদের এ সুবিধা মিলছিল না এতদিন। তবে সুখবর হচ্ছে যাত্রীদের গমনাগমনের সুবিধার জন্য ঢাকার শাহজালালসহ আরো দুটি বিমানবন্দরে ২৭টি ই-গেট স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুতই তা চালুর কথা ভাবছেন। এ ব্যবস্থাটি চালু হলে শুধু পাসপোর্টের পাতা ঘেঁটে ছুঁইয়ে সহজেই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন যাত্রীরা।
সূত্র জানায়, সারাদেশে ই-পাসপোর্ট যাত্রীদের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে মোট ৫০টি ই-গেট স্থাপনের কথা থাকলেও করোনা অনেকটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যাত্রীদের কথা আমলে নিয়ে শেষ পর্যন্ত সে বাধাকে উপেক্ষা করে স্থলপথে না হলেও আকাশপথে যাতায়াতের জন্য ই-গেট চালু হতে যাচ্ছে দ্রুতই। গমন ও আগমনের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত হযরত শাহ্ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১২টি গমন ও তিনটি আগমন মিলিয়ে ১৫টি ই-গেট স্থাপন কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে ৩টি করে গমন-আগমন মিলিয়ে মোট ১২টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। ২৭টি গেট ছাড়াও হযরত শাহ্ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরো দুইটি ভিআইপি ই-গেট নির্মাণের কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুতই তা শেষ হবে বলে জানা গেছে। বাকি ই-গেটগুলো কবে নাগাদ স্থাপন হবে জানতে চাইলে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, করোনার কারণে একটু বিলম্ব হয়েছে। তবে আশা করছি, অতি অল্প সময়ের মধ্যে আমরা বাকি ই-গেটগুলো স্থাপন করে ফেলব। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান ভোরের কাগজকে বলেন, স্থলবন্দর দিয়ে যারা যাওয়া আসা করবেন তাদের ভ্রমণে সুবিধার জন্য খুব সিগগিরই ই-গেট স্থাপন করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রকল্পটি ৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ডিআইপি পুরো প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে। ১০ বছরে মোট ৩০ মিলিয়ন পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে। ই-পাসপোর্ট সেবার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনের মাধ্যমে অভিবাসনের আনুষ্ঠানিকতারও পুরো প্রক্রিয়া শেষ হবে। জার্মানিতে দুই মিলিয়ন ই-পাসপোর্ট তৈরি করা হবে। যারা প্রথমে আবেদন করবেন, তাদের পাসপোর্ট জার্মানি থেকে তৈরি করা হবে। ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ৫-১০ বছরের জন্য। গত ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই ডিআইপি এবং জার্মানি ভেরিডোস জিএমবিএইচ সংস্থা ইলেকট্রনিক পাসপোর্টের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়