ক্র্যাবের ২ সদস্যকে হুমকি দেয়া পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

আগের সংবাদ

গাপটিল-বাটলার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই

পরের সংবাদ

কপ-২৬ : জলবায়ু বিপর্যয় রোধ > গরিব দেশগুলোকে ২৯ কোটি পাউন্ড দেবে ব্রিটেন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ধরিত্রী বাঁচাতে স্কটল্যান্ডের গøাসগো শহরে বিশ্ব নেতাদের অংশগ্রহণে ২৬তম জলবায়ু সম্মেলন দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়াল। এর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ২৯ কোটি পাউন্ড সহায়তার প্রতিশ্রæতি দিল যুক্তরাজ্য। গতকাল সোমবার বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, স্কটল্যান্ডের গøাসগোতে কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে দেশটির পক্ষ থেকে এই প্রতিশ্রæতি দেয়া হয়। গত ৩১ অক্টোবর শুরু হওয়া কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজের (কপ) ২৬তম এই আয়োজন আগামী ১২ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা। সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রæত অর্থের বড় অংশই বরাদ্দ দেয়া হয় এশীয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জলবায়ু নিয়ে পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন কার্যক্রমে।
দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ এবং কম কার্বন নিঃসরণভিত্তিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে এই অর্থ দেয়া হবে। প্রতিশ্রæত অর্থ কোথায় ব্যয় হবে, এ প্রশ্নের উত্তরে জানা যায়, যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রæত ২৯ কোটি পাউন্ডের তহবিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কয়েকটি ভাগে দেয়া হবে। প্রথমত, এর মধ্যে ২৭ কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড দেয়া হবে এশীয় এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর জলবায়ু নিয়ে পরিকল্পনা ও বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় বিনিয়োগের জন্য। পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ এবং কম কার্বন নিঃসরণ করে এমন উন্নয়নে। দ্বিতীয়ত, এক কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড দেয়া হবে উন্নয়নশীয় দেশগুলোর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এমন কার্যক্রমে গুরুত্ব বাড়িয়ে সহায়তা দেয়া যায় এমন একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে। তৃতীয়ত, ১০ লাখ পাউন্ড দেয়া হবে জলবায়ু বিপর্যয়ে আরো বেশি দ্রুত এবং কার্যকর বৈশ্বিক মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সহায়তার লক্ষ্যে।
গত সপ্তাহে জলবায়ুর ‘ক্ষতিপূরণ তহবিলে’ প্রথম ১০ লাখ পাউন্ড

দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেন স্কটল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিকোলা স্টার্জন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সালিমুল হক নতুন তহবিলের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ এন্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক সালিমুল হক বলেন, এ প্রতিশ্রæতির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো উন্নত কোনো দেশ পরোক্ষভাবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের দায় স্বীকার করে নিল। উন্নত অন্যান্য দেশগুলোও এই কাতারে আসবে বলেও তিনি আশা করছেন।
ইতোমধ্যে প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে আলোচনা। দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করা কপ-২৬ সম্মেলনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে কিভাবে সহায়তা করা যায় এবং দরিদ্র ওই দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা করবেন বিশ্ব নেতারা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এবং আরো বেশি ক্ষতির ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র দেশগুলোর পক্ষ থেকে প্রতিশ্রæত বার্ষিক ১০০ কোটি ডলার দাবি করা হচ্ছে। ধনী দেশগুলোর পক্ষ থেকে ২০০৯ সালের সম্মেলনে এই অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রæতি দেয়া হয়। কিন্তু ২০২০ সালেও তা বাস্তবায়ন না করে ২০২৩ সালে নতুন লক্ষ্যমাত্রা দেয়ায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে এ নিয়ে তীব্র হতাশা দেখা দিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর দায় খুব সামান্যই। অন্যদিকে বৈশ্বিক জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ ধনী মানুষ দরিদ্রতম ৫০ শতাংশ মানুষের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি কার্বন নিঃসরণ করছে। গতকাল সোমবার কপ-২৬ সম্মেলনে ‘অ্যাডাপটেশন, লস এন্ড ড্যামেজ ডে’ ঘিরে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব মোকাবিলার উপায় নিয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য এ আলোচনা হবে। আগামী রবিবার পর্যন্ত জাতিসংঘ আয়োজিত এই জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা কিভাবে বেঁধে দেয়া সীমা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখা যায়, সে বিষয়ে আলোচনায় গুরুত্ব দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়