ভ্রমণ ভিসায় ৫০০ জনকে দুবাই পাচার, গ্রেপ্তার ৮

আগের সংবাদ

কপ-২৬ : জলবায়ু বিপর্যয় রোধ > গরিব দেশগুলোকে ২৯ কোটি পাউন্ড দেবে ব্রিটেন

পরের সংবাদ

সুজানগরে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর-গুলিবর্ষণ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পাবনা প্রতিনিধি : দ্বিতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সুজানগরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, গুলিবর্ষণ ও মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৭ জন। গত শনিবার সন্ধ্যার কিছু সময় আগে উপজেলার সিন্দুরি বরুরিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ইউনুস আলী, সেলিম শেখ, মহির উদ্দিন, শেফালী খাতুন, হাসিনা খাতুন, সুফিয়া খাতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই উভয়পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। শনিবার সন্ধ্যার কিছু সময় আগে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈয়ব আলী শেখের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় প্রতিপক্ষের সমর্থকরা। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় কয়েকটি মোটরসাইকেলে। আহত হয় অন্তত ৭ জন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী তৈয়ব আলী শেখ অভিযোগ করে বলেন, নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন চৌধুরীর নির্দেশে তার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আমার নির্বাচনের কাজে ব্যবহৃত ৪টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার বসতবাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে। আমি প্রাণ ভয়ে পালিয়েছিলাম।
তৈয়ব আলীর অভিযোগ, নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে শাহীন চৌধুরী আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। একইদিন দুপুরেও উপজেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে হামলা চালিয়ে আমার দুজন সমর্থককে মারধর করা হয়েছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমি শংকিত। অভিযোগের বিষয়ে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন চৌধুরী বলেন, আমার নির্বাচনী প্রচার মিছিলের উপরে বিদ্রোহী প্রার্থী তৈয়ব আলীর সমর্থকরা হামলা ও গুলিবর্ষণ করেছে। এখন উল্টো আমার নামেই মিথ্যা বলছে। নির্বাচনে নিজের পক্ষে সমর্থন নেয়ার জন্য তারা নিজেরাই এই কাজ করেছে। আমার কোনো নেতাকর্মী এই কাজ করেনি। আমরা নিজেদের মতো করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। জামায়াত-বিএনপির মদদে তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। সাধারণ মানুষ ভোটের মাধ্যমে এর জবাব দেবেন।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। অভিযোগের আলোকে তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো প্রকারের সহিংসতা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি মেনে নেয়া হবে না। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়