ভ্রমণ ভিসায় ৫০০ জনকে দুবাই পাচার, গ্রেপ্তার ৮

আগের সংবাদ

কপ-২৬ : জলবায়ু বিপর্যয় রোধ > গরিব দেশগুলোকে ২৯ কোটি পাউন্ড দেবে ব্রিটেন

পরের সংবাদ

সংসদীয় স্থায়ী কমিটি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কারাগারে ডোপ টেস্টের সুপারিশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মাদকাসক্তি বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কারাগারকে ডোপ টেস্টের আওতায় আনার সুপারিশ করেছে এই কমিটি। একই সঙ্গে স্কুল ও কলেজের সামনে বা গেটে পান-সিগারেটসহ অন্য কোনো দোকান যেন কেউ বসাতে না পারে সে বিষয়েও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ সদস্যদের মধ্যে চলমান ডোপ টেস্ট প্রক্রিয়া আরো জোরদার করা দরকার বলে মনে করছে এই কমিটি।
গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৮তম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এবং বেগম রুমানা আলী অংশ নেন বৈঠকে।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য পীর ফজলুর রহমান ভোরের কাগজকে জানান, পুলিশের ডোপ টেস্ট কার্যক্রম চলমান আছে, তা আরো বেগবান করার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করা, ক্রমান্বয়ে সব স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের এই টেস্টের আওতায় আনার কথাও বলেছে কমিটি। দেশের প্রতিটি কারাগারে কয়েদিদের মধ্যে মাদক সরবরাহ হচ্ছে- এমন প্রতিবেদন প্রতিনিয়ত পত্র-প্রত্রিকায় দেখা যাচ্ছে। সে কারণে কমিটি প্রতিটি কয়েদিকেও ডোপ টেস্টের সুপারিশ করেছে।
তিনি জানান, চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এটি বন্ধে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হাতে সহিংসতা দমন এবং গোয়েন্দা বাহিনীকে আরো তৎপর হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটি ১৬তম বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে ১৭তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও অগ্রগতির বিষয়ে কমিটিকে অবগত করা হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সার্বিক কার্যক্রমের ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং আলোচনা করা হয়। কমিটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলাপর্যায়ে মাদকবিরোধী সভা করা- যা পর্যায়ক্রমে উপজেলায়ও আয়োজনের সুপারিশ করেছে।
বৈঠকে বলা হয়, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক ও অফিসার হত্যা দিবস। এ দিনে শাহাদতবরণকারী সবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। কমিটি এ জঘন্যতম হত্যার নিন্দা জানায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়