ভ্রমণ ভিসায় ৫০০ জনকে দুবাই পাচার, গ্রেপ্তার ৮

আগের সংবাদ

কপ-২৬ : জলবায়ু বিপর্যয় রোধ > গরিব দেশগুলোকে ২৯ কোটি পাউন্ড দেবে ব্রিটেন

পরের সংবাদ

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ক্ষোভ : গুচ্ছ পরীক্ষায় ভোগান্তি কমল নাকি বাড়ল!

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রকি আহমেদ : ঢাকা সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের জান্নাতুল যুথী গুচ্ছের এ ইউনিটে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন। এরপরই জানতে পারলেন পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে চাইলে তাকে পৃথক পৃথক আবেদন ফি জমা দিতে হবে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, এমনিতেই দ্বিগুণ ফি দিয়ে পরীক্ষা দিলাম। এখন যত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পছন্দ দিব, তত বারই ৬৫০ টাকা করে গুনতে হবে। অর্থাৎ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের সব অনুষদে আবেদন করতে চাইলে তাকে কমপক্ষে ৩৫-৪০ হাজার টাকার মতো ব্যয় করতে হবে।
পুরান ঢাকার শিক্ষার্থী নীরবের বাবা জাহিদুল ইসলাম বলেন, গুচ্ছে পরীক্ষা দিয়ে শুধু সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে গিয়ে পরীক্ষা দেয়ার হাত থেকে রেহাই পেলাম হয়তো। কিন্তু এখন নীরব যদি কমপক্ষে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার ভর্তির জন্য আবেদন করে, তাহলেও অন্তত ৩৫-৪০ হাজার টাকা দিতে হবে, যা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সম্প্রতি শেষ হওয়া গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পর শিক্ষার্থীদের পরবর্তী কার্যক্রমে হঠাৎ করেই ধার্যকৃত বিভিন্ন ধরনের ফি বিষয়ে এভাবেই ক্ষোভ জানালেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
জানা গেছে, ১২০০ টাকা পরীক্ষা ফি দিয়েই ভর্তি ব্যয় শেষ হয়ে যাচ্ছে না গুচ্ছ পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ প্রায় তিন লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর। বরং পরীক্ষায় পাসের পর এবার ভর্তির জন্য যত বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পছন্দ দেয়া হবে, খরচও বেড়ে যাবে সেই অনুপাতে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ইউনিটে আবেদন ফি ৬৫০ টাকা। আবার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটে একাধিক অনুষদ থাকায় সবটিতে আবেদন করতে চাইলে টাকা দিতে হচ্ছে একাধিকবার। তবে ভর্তির জন্য পুনরায় টাকা নেয়ার এ দায় নিজেদের ওপর নিতে নারাজ গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি।
তারা বলছেন, পরীক্ষা নিয়েই গুচ্ছের কাজ শেষ। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে টাকা নেবে, কীভাবে ভর্তি করবে তা প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যাপার।
উল্লেখ্য, প্রথমবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গত ৩ নভেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি অনুষদে ভর্তির জন্য ৬৫০ টাকা আবেদন ফি দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ‘এ ইউনিটে’ অর্থাৎ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য ৪টি অনুষদ আছে। কোনো একজন শিক্ষার্থী এই অনুষদগুলোতে আবেদন করতে চাইলে তাকে ২৬০০ টাকা দিতে হবে। আবেদনের সুযোগ থাকবে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। দেশে এমন ১০টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটিতে বিজ্ঞানের জন্য একাধিক অনুষদ আছে। তবে ১০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করলে ৬৫০ টাকা করে আবেদন ফি দিতে হবে।
এ বিষয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, প্রতি অনুষদে শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি যাচাই-বাছাই করার জন্য দীর্ঘ সময় নিয়ে পরিশ্রম আছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষদ চারটা। অনুষদগুলোর কাজো পৃথক। একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। এজন্য ফি প্রতি অনুষদে আলাদা। অন্যদিকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, পরীক্ষার ফি পরীক্ষা দেয়ার জন্য নেয়া হয়েছে। এখন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা যদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের রেজাল্টে বিপরীতে আবেদন করে সেটা যাচাই-বাছাই করতে ফি দিতে হবে। এগুলোর জন্য যে খরচ হয় সেটা ইউজিসিও বহন করছে না আর আমাদেরও বহন করার কথা নয়। শিক্ষার্থীদেরই বহন করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়