ভ্রমণ ভিসায় ৫০০ জনকে দুবাই পাচার, গ্রেপ্তার ৮

আগের সংবাদ

কপ-২৬ : জলবায়ু বিপর্যয় রোধ > গরিব দেশগুলোকে ২৯ কোটি পাউন্ড দেবে ব্রিটেন

পরের সংবাদ

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য : চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১১ শতাংশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সুবাতাস বইছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি আয়ে। দীর্ঘদিনের সংকট কাটিয়ে আবারো আশার আলো দেখাচ্ছে খাতটি। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৩৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ৭০ পয়সা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৩ হাজার ১২৮ কোটি টাকা, যা গত ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ খাতের রপ্তানি আয় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। আর এই আয়ের ৬২ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকাই এসেছে জুতা রপ্তানি থেকে। গত বছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে এ খাত থেকে ২৮ কোটি ৩২ লাখ ডলার আয় হয়েছিল। দেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের প্রধান বাজার হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানসহ আরো কয়েকটি দেশে রপ্তানি হয় এই পণ্য।
লেদার গুডস এন্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে জুতার মোট বাজারের ৫৫ শতাংশ চীনের দখলে। ভারত ও ভিয়েতনামেরও ভালো অবস্থান আছে। বিশ্বে জুতার বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮তম। তবে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের এ খাতে অবদান মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে ১১৩ কোটি ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বেড়ে ১১৬ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই আয় আরো বেড়ে হয় ১২৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে চামড়াশিল্প থেকে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয়। এরপর থেকেই ধস নামে এ খাতের রপ্তানিতে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা ১০৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলারে নেমে আসে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা আরো কমে ১০২ কোটি ডলারে নামে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা আরো কমে ৭৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে নেমে আসে।
তবে করোনা মহামারির মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে ৯৪ কোটি ১৭ লাখ ডলারের বিদেশি মুদ্রা আয় হয়েছে। টাকার হিসাবে এই অর্থের পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি। আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি বেড়েছিল ১৮ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম ভাগে এ খাতের রপ্তানিতে ধস নামলেও দ্বিতীয় ভাগে এসে তা ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রবৃদ্ধিতে ফিরে আসে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যায়।
সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) এ খাতের রপ্তানি থেকে ৩৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেশে এসেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ শতাংশ। এই আয়ের ৬২ শতাংশই এসেছে চামড়ার জুতা রপ্তানি থেকে। ৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার এসেছে চামড়া দিয়ে তৈরি ব্যাগ, লাগেজ, মানিব্যাগ, বেল্টসহ অনান্য পণ্য রপ্তানি করে। কাঁচা ও ওয়েট-ব্লæ চামড়া রপ্তানি করে এই চার মাসে আয় হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ ডলার। গত বছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে এই খাত থেকে ২৮ কোটি ৩২ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়