বিনোদন ডেস্ক : আরিয়ান খানের মাদক মামলার প্রধান তদন্তকারী ও ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে বিতর্কিত ক্রুজ ড্রাগস মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ক্রুজ ড্রাগস মামলা ছাড়াও এনসিবির আরো ৫টি মামলা মুম্বাই ইউনিট থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর করেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভিসহ একধিক গণমাধ্যম। গত শুক্রবার আরিয়ানসহ ওই পাঁচটি হাইপ্রোফাইল মাদক মামলা দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এই মামলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এনসিবির দিল্লির বিশেষ টিমকে। যে টিমের প্রধান সঞ্জয় সিং। এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টের জেনারেল মুথা অশোক জৈন জানিয়েছেন, সমীর ওয়াংখেড়ে এনসিবির আঞ্চলিক পরিচালক পদে থাকবেন এবং অন্য সব মামলার দায়িত্ব পালন করবেন। মাদককাণ্ডে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা জেরার পর ৩ অক্টোবর বিকেলে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার দেখায় এনসিবি। এরপর থেকে নতুন করে আলোচনায় আসেন সমীর। তার বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে মামলা মীমাংসা, অর্থের বিনিময়ে সাক্ষী জোগাড়, জাল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে চাকরি নেয়াসহ একাধিক অভিযোগ উঠে। যার মধ্যে ঘুষ লেনদেনের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। এই প্রসঙ্গে সমীর ওয়াংখেড়ের ভাষ্য, ‘তদন্তকারী দল থেকে আমাকে অপসারিত করা হয়নি। আদালতেই রিট পিটিশনে জানিয়েছিলাম যে, এই তদন্তভার কেন্দ্রীয় টিমের হাতে তুলে দেয়া হোক। এবার থেকে আরিয়ান খান কেস এবং সমীর খান কেস দিল্লি এনসিবির বিশেষ দলের দায়িত্বে থাকবে। এটা এনসিবির দিল্লি ও মুম্বাই টিমের মধ্যেকার সমঝোতা’। এর আগে মুম্বাই পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সমীর ওয়াংখেড়ে লিখেছেন, উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে চাকরিচ্যুত করা ও গ্রেপ্তার হওয়ার হুমকি পেয়েছেন তিনি। তাকে বাজে উদ্দেশ্যে ফাঁসানো হতে পারে আশঙ্কা করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিতে মুম্বাইয়ের শীর্ষ পুলিশকর্তার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে নিরাপত্তা দেয়ার অনুরোধও করেন সমীর।
এদিকে এনসিবির মুম্বাই জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ আনলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। তিনি বলেন, আরিয়ানকে কিডন্যাপ করে সমীর ওয়াংখেড়ে টাকা আদায়ের ছক কষেছিল।