ভ্রমণ ভিসায় ৫০০ জনকে দুবাই পাচার, গ্রেপ্তার ৮

আগের সংবাদ

কপ-২৬ : জলবায়ু বিপর্যয় রোধ > গরিব দেশগুলোকে ২৯ কোটি পাউন্ড দেবে ব্রিটেন

পরের সংবাদ

আফগানিস্তান : অধিকার কর্মীসহ ৪ নারীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : এক নারী অধিকার কর্মীসহ চার আফগান মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হলো উত্তর আফগানিস্তানে মাজার-ই-শরিফ শহরের এক বাড়ি থেকে। দুর্বৃত্তরা গত সপ্তাহে ওই হত্যালীলা চালালেও বিষয়টি গতকাল রবিবার প্রকাশ্যে আসে। তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কারি সাইদ খোস্তি এ বিষয়ে টুইটারে জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতে এর বিচার হবে। কে বা কারা এই খুনগুলোতে জড়িত, সেটি অবশ্য প্রকাশ্যে আনেনি তালেবান সরকার।
তবে জানা গেছে, যে চারজনকে খুন করা হয়েছে, তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে ওই বাড়িতে ডেকে আনা হয়েছিল।
কারা খুন হয়েছেন, তাও জানানো হয়নি। তবে মাজার-ই-শরিফের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, নিহতদের মধ্যে একজন সেখানকার পরিচিত মুখ- নারী অধিকার কর্মী ফ্রোজান সাফি। ঊনত্রিশ বছর বয়সি ফ্রোজান একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি পড়াতেন। তালেবানরা দ্বিতীয়বারের জন্য আফগানিস্তানে সরকার গঠন করার পর থেকেই ভয়ে থাকতেন ফ্রোজান।
চেষ্টা করছিলেন বিদেশে পালিয়ে যেতে। দুষ্কৃতকারীরা সেই সুযোগ নিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সপ্তাহতিনেক আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ফ্রোজান। তিনি জানিয়েছিলেন, তাকে বিদেশে যাওয়ার বন্দোবস্ত করে দিচ্ছে কয়েকজন ব্যক্তি। সেজন্য যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে একটি বাড়িতে তাকে দেখা করতে বলা হয়। তিনি ভেবেছিলেন, তার জার্মানিতে যাওয়ার আবেদন হয়তো মঞ্জুর হয়েছে। সেই মতো গত ২০ অক্টোবর সব নথিপত্র নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন ফ্রোজান। সেদিন থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, ফ্রোজানকে গুলি করে মারার পর তার মুখ পুরোটাই ক্ষতবিক্ষত করে দেয়া হয়। তার পোশাক দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। নিহত বাকি তিন মহিলার পরিচয় জানা যায়নি। যে দেহগুলো উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে বাকি তিনজনই মহিলা কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। বলখ প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাবিউল্লা নূরানি অবশ্য আগেভাগেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেন, ব্যক্তিগত শত্রæতার জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে।
তবে গোটা ঘটনা প্রকাশ্য হওয়ার পর শিউরে উঠছেন আফগানিস্তানের নারী অধিকার কর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, বিদেশে চলে যেতে তাদের সাহায্য করা হবে বলে নথিপত্র চেয়ে অনেকের কাছেই ফোন আসছে। এমনই একজন জানান, ওরা আমাকেও ফোন করেছিল। আমার সম্পর্কে সবই জানে বলে মনে হলো। অনেক নথি চেয়েছিল। বলল দেশ ছাড়তে ওরা আমায় সাহায্য করবে। আমার সন্দেহ হওয়ায় আমি নম্বর ব্লক করে দিয়েছি। তবে আমাকে ওরা যে কোনো সময় খুঁজে বের করে মেরে ফেলবে। ভয়ানক আতঙ্কে আছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়