ভ্রমণ ভিসায় ৫০০ জনকে দুবাই পাচার, গ্রেপ্তার ৮

আগের সংবাদ

কপ-২৬ : জলবায়ু বিপর্যয় রোধ > গরিব দেশগুলোকে ২৯ কোটি পাউন্ড দেবে ব্রিটেন

পরের সংবাদ

আপিল বিভাগ : পূর্ণাঙ্গ রায়ের আগে ফাঁসি কার্যকর নয়

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার আগে ফাঁসি কার্যকর না করতে আইজি প্রিজনসের সঙ্গে কথা বলতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আসামি শুকুর আলীর ফাঁসিসংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি করে গতকাল রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় গত ১৮ আগস্ট আপিল বিভাগ শুকুর আলীর ফাঁসির রায় বহাল রাখেন। এ রায়ের অ্যাডভান্স কপি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে চলে যায়। এরপরই শুকুর আলীর দণ্ড কার্যকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেল কর্তৃপক্ষ। এ খবর শুনে শুকুর আলীর পরিবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমি এ মামলার রিভিউ ফাইল করার প্রস্তুতি নিই। কিন্তু আমার ওকালতনামা পেতে দেরি হয়। যে কারণে আমি আজকে আপিল বিভাগের আবেদন করি। আবেদনে আমি আদালতকে বলেছি, রিভিউ ফাইল না করা পর্যন্ত যাতে ফাঁসি কার্যকর না হয়। মহামান্য আদালত আমার আবেদন গ্রহণ করেছেন এবং এ বিষয়ে আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেছেন, তিনি যেন আইজি প্রিজনকে বলে দেন ফাঁসি দণ্ডটি যাতে স্থগিত থাকে।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের এক কিশোরী প্রতিবেশীর বাড়িতে টেলিভিশন দেখে বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা তাকে অপহরণ করে। এরপর একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ শেষে তাকে হত্যা করা হয়। পরদিন কিশোরীর বাবা আব্দুল মালেক ঝনু বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলার বিচার শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দেন কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর হোসেন। আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার লালনগর গ্রামের শুকুর আলী, কামু ওরফে কামরুল, নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেন।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। এর মধ্যে কামু ওরফে কামরুল মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এরপর আসামিরা আপিল করেন। গত ১৮ আগস্ট শুকুর আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। অন্য তিন আসামি নুরুদ্দিন সেন্টু, আজানুর রহমান ও মামুন হোসেনের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়