এএসপি আনিসুল হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু

আগের সংবাদ

ভাড়া বাড়ানো কতটা যৌক্তিক

পরের সংবাদ

মির্জাপুরে সার সংকটে বিপাকে কৃষক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. জহিরুল ইসলাম, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) থেকে : মির্জাপুর উপজেলায় ডিএপি ও এমওপি সারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া ইউরিয়া সারেরও সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। এই সার সংকট নিরসনে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে শুক্রবার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানিয়েছেন।
কৃষি বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, চলতি বছর এ উপজেলায় সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারিত হয়েছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলুসহ শীতকালীন নানা প্রকার শাকসবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে সাড়ে ১২শ হেক্টর জমিতে। এছাড়া প্রায় পাঁচশ হেক্টর জমিতে গম আবাদেরও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে সরিষা এবং শীতকালীন শাকসবজি আবাদের ভরা মৌসুম চলছে। এসব ফসল ও শাকসবজি আবাদের জন্য কৃষকরা জমিও প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু তীব্র সার সংকটের কারণে সরিষা ও সবজি আবাদ বিঘিœত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সূত্রটি আরো জানান, এ উপজেলায় ১৫ জন সারের ডিলার রয়েছেন। এদের চলতি মাসে টাঙ্গাইল থেকে ১৪০ বস্তা করে এমওপি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাত্র ২ জন ডিলার বরাদ্দকৃত সার উত্তোলন করতে পেরেছেন। গোডাউনের এক কর্মকর্তার আত্মীয়ের মৃত্যু হওয়ায় গোডাউন বন্ধ থাকায় বৃহস্পতি ও শুক্রবারও কোনো ডিলার তাদের বরাদ্দকৃত সার উত্তোলন করতে পারেননি। এছাড়া প্রতি ডিলার ১৩ টন করে ডিএপি সারের বরাদ্দ পেয়েছেন। যা নারায়ণগঞ্জের আমদানিকারকদের কাছ থেকে আনতে হবে। এই ১৫ জনের একজন ডিলার বরাদ্দকৃত সার আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু জাহাজ বন্দরে ভিড়েনি বলে ওই ডিলারকে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক জানান। অন্য ডিলাররাও হঠাৎ করে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হওয়ায় সার আনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া এ উপজেলার ১৫ জন ডিলারকে ৭৭ টন করে ইউরিয়া সার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র চারজন ডিলার সার উত্তোলন করতে সক্ষম হয়েছেন। বাকিরা টাকা জমা দেয়ার পরও পরিবহন ধর্মঘট শুরু হওয়ায় যমুনা সার কারখানা থেকে বরাদ্দকৃত সার আনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা সার ডিলার সমিতির সভাপতি দেওয়ান রেফাজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন জানান, অন্য বছরের তুলনায় বরাদ্দ কম দেয়ায় এবং পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সার সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মশিউর রহমান সার সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যাতে দ্রুত এই সার সংকট নিরসন করা যায় তার জোর প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, সার সংকট নিরসনে কাজ করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়