এএসপি আনিসুল হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু

আগের সংবাদ

ভাড়া বাড়ানো কতটা যৌক্তিক

পরের সংবাদ

বন্ধ হলো লঞ্চ চলাচলও সাধারণ যাত্রীরা বিপাকে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শতভাগ ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে অবশেষে লঞ্চ চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ডিজেলের দাম ও লঞ্চ পরিচালনার খরচ বেড়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে ভাড়া বাড়াতে গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএকে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন লঞ্চ মালিকরা। সেটি বাস্তবায়িত না হওয়ায় বিকালে ঢাকার সদরঘাটসহ দেশের বিভিন্ন টার্মিনাল থেকে লঞ্চগুলো সরিয়ে নেয়া হয়। এতে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন। তবে বিকালের পরও বেশ কয়েকটি লঞ্চকে সদরঘাট থেকে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন জানান, ভাড়া বাড়ানোর দাবি মেনে না নেয়ায় বিকালে সদরঘাট টার্মিনালে ভেড়ানো অবস্থা থেকে ১৫-২০টি লঞ্চ সরিয়ে নেয়া হয়। এগুলোতে তেমন যাত্রী ছিল না। আবার বরিশাল, বরগুনা, আমতলীসহ বিভিন্ন রুটের ৩০-৩৫ লঞ্চ যাত্রী ওঠানো অব্যাহত রাখে। পরে সেগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে যায়। তিনি বলেন, যেসব রুটে যাত্রী বেশি পাওয়া গেছে, সেসব রুটে লঞ্চ চালিয়েছেন মালিকরা। আর যাত্রী কম থাকা রুটগুলোতে লঞ্চ চালানো হয়নি।
তবে লঞ্চ মালিকদের নেতা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল সংস্থার (যা-প) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল জানান, জ্বালানির দাম বাড়ায় মালিকরা তেল কিনতে পারছেন না। ফলে সারাদেশে সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া বাড়াতে বিআইডব্লিউটিএর কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কারণ, স্টিলের দাম, শ্রমিকদের বেতনসহ লঞ্চ পরিচালনার ব্যয় অনেক বেড়েছে। এর মধ্যে বাড়ানো হয়েছে ডিজেলের দাম। এ অবস্থায় শতভাগ ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে গত শুক্রবার বিআইডব্লিউটিএকে আল্টিমেটাম

দিয়েছিলেন তারা। শনিবার দুপুরের মধ্যে দাবি না মানা হলে লঞ্চ না চালানোর সিদ্ধান্ত ছিল তাদের। এখন সেটিই বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আজ রবিবার দুপুর ৩টায় লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে সংস্থার চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের। গত শুক্রবার লঞ্চ মালিকরা মোবাইল ফোনে ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আল্টিমেটাম দিলে তিনি শনিবার সকালে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা বলেন। তবে পরে বৈঠকের সময় একদিন পিছিয়ে রবিবার করা হয়। যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে লঞ্চ চলাচল বন্ধ না করতে মালিকদের অনুরোধও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে মালিকরা জানান, লোকসান দিয়ে তাদের পক্ষে লঞ্চ চালানো সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, সরকার গত বুধবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ায়। পর দিন বৃহস্পতিবার এলপি গ্যাসের দামও বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। এর জেরে শুক্রবার ভোর থেকে সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এর সঙ্গে গতকাল যুক্ত হন লঞ্চ মালিকরাও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়