এএসপি আনিসুল হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু

আগের সংবাদ

ভাড়া বাড়ানো কতটা যৌক্তিক

পরের সংবাদ

ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর আজ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২১ , ১:২১ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর আজ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। সেনাবাহিনীর ভেতরে অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান মুক্ত হন। সে দিন বেশ কিছু সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যা’ দিবস হিসেবে পালন করে। অন্যদিকে বিএনপি পালন করে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে। আর ‘সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান’ দিবস হিসেবে পালন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ সামরিক বাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান ঘটান। সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করেন। জিয়া সাধারণ সৈনিকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। সাধারণ সৈনিকরা তাকে বন্দি করা এবং খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানকে সহজভাবে মেনে নেয়নি। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ৬ নভেম্বরের মধ্যরাতের পর কামানের গোলাবর্ষণ করে সর্বাত্মক বিদ্রোহের সূচনা করে। ৭ নভেম্বর তারা জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে। খালেদ মোশাররফ এবং তার সহযোগীরা বিদ্রোহী সৈনিকদের হাতে হত্যার শিকার হলেন।
অভ্যুত্থানকারী সৈনিকরা ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে ঢাকার রাজপথে বেরিয়ে আসে। তারা ‘সিপাহী-জনতার বিপ্লব জিন্দাবাদ’, ‘সিপাহী-জনতা ভাই ভাই’, ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ সেøাগান দেয়। জনগণ ফুলের মালা দিয়ে হর্ষধ্বনি তুলে বিপ্লবী সৈনিকদের অভিনন্দন জানায়। অনেকে ট্যাংকের উপরেও চড়ে বসে।
দিবসটি উপলক্ষে দুদিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আজ দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। গতকাল শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশ করে দলটি।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তাদের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়