এএসপি আনিসুল হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু

আগের সংবাদ

ভাড়া বাড়ানো কতটা যৌক্তিক

পরের সংবাদ

গুলশান রিক্রিয়েশন ক্লাবে অভিযান : মদ-বিয়ার রাখা হতো টয়লেটের সিলিংয়ে, কার্পেটের নিচে

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর গুলশান এলাকার দি ক্যাপিটাল রিক্রিয়েশন ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল শনিবার ভোর পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। ক্লাবটি থেকে এ সময় ৪৬৩ বোতল মদসহ ১ হাজার ৪১৩টি বিয়ারের ক্যান জব্দ করা হয়েছে। র?্যাব-১ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন গতকাল ভোরের কাগজকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গুলশানের অন্যতম নামিদামি এ ক্লাবটিতে উচ্চবিত্তদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে অভিনব কায়দায় মদ-বিয়ার মজুত রেখেছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এসব মাদকদ্রব্য রাখা হতো ক্লাবের হলরুমের মঞ্চের কার্পেটের নিচে কুঠুরি বানিয়ে ও টয়লেটের সিলিংয়ের ভেতরে। ক্লাবটিতে সিঁড়ি আছে দুটি। সামনের সিঁড়িটি সদস্য আর পেছনের সিঁড়িটি ব্যবহার করতেন কর্মচারীরা। পেছনের সিঁড়ির দেয়ালে একটি পোট্রেট ছবি ঝোলানো ছিল। এ ছবির পেছনের

দেয়ালেও প্রকোষ্ঠ বানিয়ে মদ মজুত করেছিল তারা। এর আগে ২০১৪ সালেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়েছিল র‌্যাব-১। সে সময়ও প্রায় ১ কোটি টাকার বেশি অবৈধ মদ-বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছিল।
র?্যাব-১ এর সিইও লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দি ক্যাপিটাল রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য মজুত রাখার অভিযোগ ছিল। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে শুক্রবার রাতে ক্লাবটিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৪৬৩ মদের বোতল ও ১ হাজার ৪১৩ বিয়ার ক্যান জব্দ করা হয়েছে।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ এসব বিয়ার ও মদ সম্পূর্ণ অবৈধ উপায়ে সংরক্ষণে রেখেছিল উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে সব ধরনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ক্লাবটির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গুলশান থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়