কাগজ ডেস্ক : দাপটে জয় সত্ত্বেও টি টোয়েন্টি বিশ^কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গতকাল শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। রাতে অপর ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১০ রানে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এ জয়ের ফলে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট ৮ হলেও সেমিফাইনালের টিকেট অর্জনে ব্যর্থ হয় প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার ১৮৯ রানের জবাবে গতকাল ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ১৭৯ রানে। এ ম্যাচে প্রোটিয়া পেসার রাবাদা হ্যাটট্রিক করার গৌবর অর্জন করেন। ইংল্যান্ড + ২.৪৬ রান রেটের কারণে গ্রুপ সেরা হয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া + ১.২২ রান রেটে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সেমির টিকেট নিশ্চিত করেছে। ৮ পয়েন্ট পেয়েও + ০.৭৪ রান রেটে তৃতীয় হয়ে বিদায় নিতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। জস বাটলার ১৫ বলে ২৬, মালান ২৬ বলে ৩০, মঈন আলী ২৭ বলে ৩৭ এবং জেসন রয় ১৫ বলে ২০ রান করেনÑ যা ছিল উল্লেখ করার মতো। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন রাবাদা। তিনি ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট লাভ করেন। ৬০ বলে ৯৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলায় ম্যাচসেরা হন রাসি ভ্যান ডার ড্যাসেন।
গতকাল ইংল্যান্ডকে হারালেও শেষ চারে যেতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন দলের সমান ৮ পয়েন্ট হলেও নিট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় বিদায় নিতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। গতকাল রাতে শারজায় টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব চালান প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংলিশ বোলারদের মধ্য মঈন আলী ও আদিল রশিদ ১টি করে উইকেট তুলে নেন। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৯০ রান।
এর আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথম ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি প্রোটিয়াদের। দলের সংগ্রহে ১৫ রান হতেই মঈন আলীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রিজা হেন্ড্রিকস। তিনি ৮ বলে খেলে মাত্র ২ রান করেন। দ্বিতীয় উইকেটে নেমে রাসি ভ্যান ডার ড্যাসেন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন। দুই জনে মিলে প্রথমে ধরে খেললে, পরে মারমুখী ব্যাটিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। তাদের ৭১ রানের জুটি ভাঙে ইনিংসের ১১.২ ওভারে। ইংলিশদের দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। ডি কক ২৭ বলে ৪টি চারের মারে ৩৪ রান করে বাউন্ডারিতে তুলে হাঁকাতে গিয়ে লং অনে জেসন রয়ের তালুবন্দি হন। তবে তার বিদায়ে ম্যাচের গতিপথের কোনো সমস্যা হয়নি। ড্যাসেন ও এইডেন মারকারাম বরং হাত খুলেই তাণ্ডব চালাতে থাকেন। ১৩তম ওভারে দলীয় সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ১০০ রানের ঘরে। চার ছয়ে ইংলিশ বোলারদের ব্যস্ত রেখে ফিফটি তুলে নেন ব্যান ডার ড্যাসেন। সেমিতে যেতে হলে বড় ব্যবধানে যেতে হবে, সে কথা মাথায় রেখেই ফিফটির পর আরো বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন ডাসেন। অপরপ্রান্তে তাণ্ডব চালাতে থাকেন মারকারামও। ইনিংসের ১৬তম ওভারে দুই ব্যাটসম্যান মিলে ক্রিস ওকসকে ৩টি ছক্কা হাঁকান। ইংলিশ অধিনায়ক মরগান একের পর এক বোলারের হাতে বল তুলে দিয়েও সাফল্যের দেখা পাচ্ছিলেন না। আগের ওভারে ২১ রান খরচার পর ১৭তম ওভারে মার্কউড এসে দেন ১১ রান। তাতে ১৫০ জমা পড়ে প্রোটিয়াদের স্কোরবোর্ডে।