দেশে ২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮৪৬

আগের সংবাদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

পরের সংবাদ

মোহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ : চলতি বছরে দাম কমার লক্ষণ নেই

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আগামীতে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামই বাড়তি হবে। কারণ, জ¦ালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। জ¦ালানি সংকট রয়েছে বিশ্বের প্রায় সব জায়গাতেই। কয়লার দাম তিন গুণ বেড়েছে। এরপরেও পাওয়া যাচ্ছে না। ডিজেল-পেট্রলের দাম বাড়ছে। জ¦ালানি তেলের দাম বাড়লে সব জিনিসের উপরেই এর প্রভাব পড়ে বলে জানান মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি মোহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ। চলতি বছরে দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াত খাতে ব্যয় বাড়বে জানিয়ে এ ব্যবসায়ী ভোরের কাগজকে বলেন, এতে করে প্রতিটি পণ্যের দামে প্রভাব পড়বে।
এনায়েতুল্লাহ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো পণ্যের দাম বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীদের তো কিছু করার নেই। এখন বিশ্ববাজারের কথা বিবেচনায় না নিয়ে ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করলে সমস্যার সঠিক সমাধান হবে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে সরকার। কাস্টমসের জটিলতা, ভ্যাট কমানো- এসব বিষয়ে সরকারকে আরো নমনীয় হতে হবে। তাহলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন। এ ব্যবসায়ী আরো বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে যুক্ত ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম বাড়ালেও অকটেন ও পেট্রলের দাম বাড়ায়নি। এছাড়া তেল, চিনি জাতীয় রিফাইনারি পণ্যের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই। এটা চার-পাঁচজন ব্যবসায়ীর হাতে আছে। যেমন সিটি, মেঘনা, ইগলু, দেশবন্ধু, টিকে, এস আলম- এরাই তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।
এনায়েতুল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই তেল-চিনির দাম বাড়ছে। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। বিভিন্ন সময় মিটিংয়ে তেল ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ৭০০ ডলার তেলের দাম বর্তমানে ১৪০০ ডলার হয়েছে। ৫০০ ডলার চিনি বর্তমানে ৭০০ ডলারে কিনতে হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়েছে। আগে যে কন্টেইনারের চার্জ ছিল দুই হাজার ডলার, তা এখন ছয় হাজার ডলার। কন্টেইনার, শিপিংয়ে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ বছরে বাজার ভালো থাকবে না বলে জানান তিনি। করোনার যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তা আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী।
করোনার প্রভাবের কথা উল্লেখ করে এনায়েতুল্লাহ বলেন, একটি কয়লার খনিতে লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। করোনার সময় তাদের কাজ বন্ধ ছিল। ফলে শ্রমিকরা পেটের দায়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। এখন আবার স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে অনেকটাই সময় লাগছে। ধারাবাহিকভাবে কয়লার খনির এ প্রভাব পড়ছে জীবনযাত্রায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়