দেশে ২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮৪৬

আগের সংবাদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

পরের সংবাদ

বিহারে ভেজাল মদ পানে ২৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতের বিহারে ভেজাল মদ পানের ঘটনায় দুই দিনে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানায়, ওয়েস্ট চাম্পারান জেলায় বেতিয়ার তেলহুয়া গ্রামে স্থানীয়ভাবে তৈরি মদ বা ‘হুচ’ পানে আটজনের মৃত্যু ঘটে। গোপালগঞ্জের কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার আরো ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। এরপর জেলাটিতে ভেজাল মদের বিষক্রিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১৬ জনে উন্নীত হয়। তবে কোনো জেলাই এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এই ২৪ জনের মৃত্যুর কারণ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
তেলহুয়া নিয়ে গত ১০ দিনে বিহারের উত্তরাঞ্চলে ৩টি ‘হুচ’ পানে গণমৃত্যুর খবর পাওয়ার কথা জানায় এনডিটিভি। গ্রামবাসীরা জানায়, গত বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তেলহুয়া গ্রামে ‘মদ পান করার পর’ আটজন ভয়াবহ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই পর দিন তাদের মৃত্যু ঘটে। ভেজাল মদ পান করা আরো কয়েক গ্রামবাসীকেও ওই এলাকার কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বিহারে মদ উৎপাদন, বিক্রি ও পান নিষিদ্ধ।
রাজ্যটির মন্ত্রী জনক রাম ভেজাল মদ পানে মৃত্যুর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গোপালগঞ্জে ছুটে যান। তিনি বলেন, যারা মারা গেছে আমি তাদের বাড়িতে গেছি। এনডিএ সরকারের বদনাম করার ষড়যন্ত্রও হতে পারে এটি। গোপালগঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা আনন্দ কুমার বলেন, গত দুই দিনে জেলার মুহাম্মাদপুর গ্রামে ‘রহস্যজনক কারণে’ বেশ কিছু লোকের মৃত্যু ঘটেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় তাদের মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না। পুলিশের ৩টি দল ঘটনা খতিয়ে দেখছে।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, এরই মধ্যে কয়েকটি মরদেহ তাদের পরিবার দাহ করে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তারা জানায়, চিকিৎসাধীন অবস্থায় চার এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে দুজন মারা যায়। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্তে, বিষাক্ত কিছু খাওয়ার কারণে এসব মৃত্যু ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ মামলা করেছে। গত দুদিনে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়