দেশে ২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮৪৬

আগের সংবাদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

পরের সংবাদ

বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাট : রাজাপুরে নারী ইউপি সদস্যসহ ২৩ জনকে আসামি করে মামলা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি : রাজাপুরে বসতঘর ভাঙচুর করে লুটপাটের ঘটনায় যুদ্ধাপরাধী হামেদ জমাদারের নাতনি চন্দ্রিমা রিমু ও নারী ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াসমি মুন্নিসহ ২৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। শহিদুল ইসলাম হাওলাদার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি এলাকার মৃত এস্কেন্দার আলী হাওলাদারের ছেলে।
অভিযুক্ত নারী ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াসমি মুন্নি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। সাতুরিয়া এলাকার যুদ্ধাপরাধী হামেদ জমাদারের নাতনি ও যুদ্ধাপরাধী মিল্লাত জমাদারের মেয়ে চন্দ্রিমা রিমু বর্তমানে উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরে বিউটিশিয়ান হিসেবে কর্মরত। মামলার অপর আসামিরা হলো- উপজেলা পূর্ব রাজাপুরের মো. জাহাঙ্গীর খান, মো. জালাল, মো. মামুন সিকদার, মো. কামাল, মো. মোস্তফা হানিফ, রাজাপুর সদরের মো. জামাল, বড় কৈবর্তখালীর মো. জুয়েল হাওলাদার, মো. নুর জামাল, মো. শুক্কুর, লাইজু, মো. কোহিনুর, পপি বেগম, তানিয়া বেগম, মো. সোহরাব হাওলাদার, মো. আল-আমিন, মো. তানবির, রেহেনা বেগম, পূর্ব ফুলহার গ্রামের মো. মিলন, আঙ্গারিয়া গ্রামের মো. সাইফুল, মো. নাইম, বাগড়ি গ্রামের মো. নবাব বাবুর্চি।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর সকালে নৈকাঠি এলাকায় ভুক্তভোগী মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের বাড়িতে অন্তত দেড়শত লোক নিয়ে যুদ্ধাপরাধীর হামেদ জমাদারের নাতনি চন্দ্রিমা রিমু ও নারী ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াসমিন মুন্নি তাণ্ডব চালিয়ে বসতঘর ভাঙচুর করে মূল্যবান মালামাল লুট করে পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রাজাপুর সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্য নাজমা ইয়াছমিন মুন্নি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, শহিদুল আমাকে জমির ঝামেলা গুছিয়ে দিতে টাকার একটি অফার দিয়েছিল। সেটি আমি গ্রহণ না করায় চন্দ্রিমা রিমুর সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক থাকায় আমার নাম জড়িয়েছে।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আটককৃত জাহাঙ্গীর, নুরুজ্জামান, জুয়েলকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়