দেশে ২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮৪৬

আগের সংবাদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

পরের সংবাদ

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বই-চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : এখন আর কেউ ইতিহাস বিকৃত করতে পারবে না

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামকে স্তব্ধ করে দিতে বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করেই ছিল পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের সব তৎপরতা। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকা বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে সে সব গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়েই প্রকাশিত বই ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’। বইটি প্রকাশ করেছে বিশ্বখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা টেইলর এন্ড ফ্রান্সিস। লন্ডনে বৃহস্পতিবার রাতে হোটেল ক্ল্যারিজে বইটির আন্তর্জাতিক সংস্করণের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার ‘গোপন নথি’ বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইতিহাস গবেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। এখন আর কেউ ইতিহাস বিকৃতি করতে পারবে না। এই বইয়ের মাধ্যমে যেমন সঠিক ইতিহাস জানা যাবে, তেমনি দেশ-বিদেশে সবার কাছে পৌঁছাবে। এ ছাড়া ‘মুজিব এন্ড ইন্ট্রোডাকশন’ ব?ইটির?ও প্রকাশনার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। মুজিব এন্ড ইন্ট্রোডাকশন’ বইটির প্রকাশক নোমাদ পাবলিকেশন। ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ বইটি প্রথম প্রকাশ করে বাংলাদেশি প্রকাশক হাক্কানি পাবলিসার্স। বইটি প্রকাশে ব্রিটিশ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান টেইলর এন্ড ফ্রান্সিস গ্রুপের আগ্রহের কারণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বলেন, তারা আমাকে বলেছেন এটার ভেতরে এমন কিছু

তারা পেয়েছেন যেটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়- সারাবিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এখনো গোয়েন্দা সংস্থায় প্রশিক্ষণের জন্যও এটা কাজে লাগতে পারে।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নথিতে রাজনীতি ও বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ বই থেকে পুরো ইতিহাসটা পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, মানুষ বইটি পড়বে, এটি নিয়ে গবেষণা করবে এবং অনেক কিছু শিখবে, তথ্য সংগ্রহ করবে এবং তারা বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানবে- শুধু বাঙালি জাতি নয় সারাবিশ্বের মানুষ। এটা সত্যিই অসাধারণ।
বইটি প্রকাশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এসবি থেকে ডক্যুমেন্টগুলো জোগাড় করলাম। আমার সঙ্গে আমার বান্ধবী বেবি মওদুদসহ আমরা ডক্যুমেন্টটা নিয়েছি। এখানে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার পাতার কাগজ আছে। প্রায় ৪৮টি ফাইল। ৪৫ থেকে ৫০ হাজার কাগজ।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমার ছোট বোন রেহানার সঙ্গে কথা বললাম। আমি তাকে বললাম যতটুকু পেয়েছি এর মধ্যে অনেক তথ্য। কারণ আমার আব্বার নাম ইতিহাস থেকে সম্পূর্ণ মুছে ফেলা হয়েছে। ভাষা আন্দোলনে তার যে কোনো অবদান আছে বা স্বাধীনতা আন্দোলনে যে কোনো অবদান আছে- সেটা ইতিহাসে নেই। একজন মেজর কোন ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে একটা বাঁশি বাজাল বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল, এ ছিল ইতিহাস। তো এ বই থেকে পুরো ইতিহাসটা পাওয়া যাবে। আমি এটা প্রকাশ করব।
শেখ হাসিনা তার মা বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছা মুজিবের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, যখন আব্বা জেলে থাকতেন আমার মা কাজ করতেন। তবে আমার মার ব্যাপারে বলব যে তিনি সত্যিকার গেরিলা ছিলেন। তার কোনো কর্মকাণ্ড কোনোদিন গোয়েন্দারা ধরতে পারেননি।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন এর উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু ও ব্রিটেন’ শীর্ষক এক চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। এতে স্বাধীনতার ৫০ বছরে ৫০টি চিত্রকর্ম প্রদর্শনী করা হয়। অনুষ্ঠান দুটোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও কন্যা সায়মা ওয়াজেদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়