দেশে ২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮৪৬

আগের সংবাদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

পরের সংবাদ

নামিবিয়াকে হারিয়ে সেমির খুব কাছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্বকাপের চলতি আসরে নিউজিল্যান্ডের সমীকরণ ছিল নামিবিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলেই নিশ্চিত সেমিফাইনাল। কিন্তু এদের কারো বিপক্ষে হারলে তাদের শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসবে। ভুল করলেই প্রস্তাতে হবে তাদের। এমন সমীকরণে নামিবিয়ার বিপক্ষে গতকাল শারজায় ৫২ রানের জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। এ জয়ের ফলে চার ম্যাচের ৩টিতে সাফল্য নিয়ে এখন তারা সেমিফাইনালের খুব কাছাকাছি। গতকাল ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নামিবিয়ার ইনিংস থামে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১১ রানে। কিউই বোলারদের মধ্য টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট ২টি করে উইকেট নেন।
সেমিফাইনালে যেতে নিউজিল্যান্ডের সামনে বাধা ছিল নামিবিয়া ও আফগানিস্তান। যাদের ওপর নির্ভর করছে ভারতের সেমিফাইনাল যাওয়ার রাস্তা। তবে নামিবিয়াকে হারানোয় এবার কিউইদের সেমির পথের কাঁটা এখন শুধু আফগানিস্তান। কারণ তারা যদি আফগানদের বিপক্ষে হারে, পক্ষান্তরে ভারত যদি নামিবিয়াকে হারায় দুই দলের পয়েন্ট সংখ্যা হবে ৬। একই সঙ্গে আফগানিস্তানের টেবিলেও পয়েন্টের সংখ্যা থাকবে ৬। সেক্ষেত্রে রান রেটে এগিয়ে থাকা দলই যাবে শেষ চারে। অর্থাৎ কিউইদের একটি ভুল সেমির দুয়ার খুলে দিবে ভারত ও আফগানিস্তানকে। আর জিতলে কোনো পরিসংখ্যানই তাদের সেমির পথ আটকে দিতে পারবে না।
১৬৪ রানের লক্ষ্যে গতকাল ব্যাট করতে নেমে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ধরে খেলার চেষ্টা করেন দুই নামিবিয়ান ওপেনার স্টিফান বার্ড ও মাইকেল ভ্যান লিঙ্গেন। দুই জনের ওপেনিং জুটিতে আসে ৪৭ রান। তবে রানগুলো তুলতে বেশ কিছু বল হজম করে ফেলেন তারা। নিউজিল্যান্ড বোলিংয়ে প্রথম সাফল্যের দেখা পান ৭.২ ওভারে। মিচেল স্যান্টনারের স্পিন ঘূর্ণিতে বোল্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন বার্ড। ২ বাউন্ডারির সাহায্য ২২ বলে ২১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর দলের খাতায় ৪ রান যোগ না হতেই বিদায় নেন আরেক ওপেনার লিঙ্গেন। তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান কিউই পেসার জেমস নিশাম। লিঙ্গেন ২ চার ও ১ ছক্কার সাহায্য ২৫ বলে ২৫ রান করেন। তৃতীয় উইকেটে নেমে থিতু হতে পারেননি নামিবিয়ার অধিনায়ক গেরহার্ড ইরাসমাসও। ৪ বলে ৩ রান তুলতেই কিউই স্পিনার ইশ সোদির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ৮ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েন নামিবিয়ানরা।
বিপদে পড়া দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন জেন গ্রিন ও ডেবিড ভিসা। দুই জনের দায়িত্বশীল

ব্যাটিংয়ে এক সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে নামিবিয়ার দিকে। তবে টিম সাউদি এ জুটিকে বেশি দূর এগোতে দেননি। তার গতি ও সুইংয়ে পরাস্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন ভিসা। পুরো আসরে দুর্দান্ত ভিসা এদিন দলের ভাগ্য বদলের নায়ক হতে পারেননি। ১ চার ও ১ ছয়ে ১৭ বলে ১৬ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। এর আগে চলতি বিশ্বকাপে তিনি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৬৬, আয়াল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮ এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। তার ব্যাটিং-বোলিং নৈপুণ্যেই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এসে নামিবিয়া বাছাইপর্বের বাধা টপকে মূলপর্বে খেলছে। তার বিদায়ের পর গ্রিনকেও সাজঘরে ফেরান সাউদি। কিউই ফাস্ট বোলারের বল তুলে মারতে গিয়ে বোল্টের হাতে ক্যাচ বন্দি হন গ্রিন। তিনি ২৭ বলে করেন ২৩ রান। তার ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ১টি ছক্কার মার। জোনাথন স্মিট এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে তখন সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখছিলেন। সেই মিছিলে যোগ দিয়েছেন লফটি-ইটন ও ক্রেইগ উইলিয়ামসও। দুজনেই শূন্য হাতে ইনিংসের ১৯তম ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন। কিউই বোলারদের সামনে দিশাহারা নামিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা ৭ উইকেট হারিয়ে ১১১ রানে আত্মসমর্পণ করেন। জোনাথন স্মিট ১৭ বলে ৯ এবং রুবেন ট্রাম্ফলম্যান ৪ বলে ৬ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। ব্ল্যাক ক্যাপসদের মধ্যে টিম সাউদি ১৫ রানে বিনিময়ে তুলে নেন ২ উইকেট। ২ উইকেট তুলে নিতে ২০ রান খরচ করেন ট্রেন্ট বোল্ট। ১টি করে উইকেট নেন স্যান্টনার, নিশাম ও সোদি।
এর আগে গতকাল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ড টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে। যদিও তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। তবে সময় যত গড়িয়েছে, তারা রান বাড়িয়েছে। উদ্বোধনী জুটিতে মার্টিন গাপটিল ও দ্রিল মিশেল ৩০ রান তোলেন। এরপর ডেভিড ভিসার বলে ট্রাম্পেলমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গাপটিল। ১৮ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ১৮ রান করেন তিনি। ৪৩ রানের মাথায় আউট হন দ্রিল। তিনি ১৫ বলে ২ চারে ১৯ রান করেন। তাকে ফেরান বার্নার্ড স্কোলজ। এরপর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ডেভন কনওয়ে ৩৮ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৮১ রানের মাথায় উইলিয়ামসনকে সরাসরি বোল্ড করেন ইরাসমাস। কিউই অধিনায়ক ২৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রান করেন। ৮৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৭ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন কনওয়ে। এরপর গেøন ফিলিপস ও জেমস নিশাম অবিচ্ছিন্ন থেকে মাঠ ছাড়েন। পঞ্চম উইকেটে তারা দুজন ৭৬ রান তোলেন। ফিলিপস ২৩ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে নিশাম ২৩ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে ১৬৩ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়